Poush Mela: পৌষমেলা (Poush Mela) করার দাবিতে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে চিঠি দিল ব্যবসায়ীদের দু'টি সংগঠন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানা তারা। তাদের আবেদন, আর ৪০ দিন বাকি রয়েছে পৌষ মেলার।
কিন্তু ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এখনও মেলা (Poush Mela) করার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী কোন বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি সাংবাদিক বৈঠক করে।
২০১৯ সালে পৌষমেলা (Poush Mela)-র জন্য জমা নেওয়া সিকিউরিটি ডিপোজিট অর্থও ফেরত দেওয়া হয়নি ব্যবসায়ীদের। অভিযোগ করেছে তারা।
পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির এবং ব্যবসায়ী সমতির পক্ষ থেকে সুব্রত ভকত এবং সুনীল সিং জানিয়ে দেন, ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই মেলা করার দাবি জানানো হয়।
তাঁদের হুঁশিয়ারি, পৌষমেলা (Poush Mela) না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর পৌষমেলা (Poush Mela) করার দাবি জানিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি।
তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।
অনেক জায়গায় বিভিন্ন গ্রামীণ-মেলা এবং বইমেলা হচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ অবিলম্বে পৌষমেলার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সর্দাথক এবং ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিন।
এরপরই তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, না হলে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
২০১৯ সালে একাধিক বিতর্কের মধ্যেও পৌষমেলা হয়ে ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিডের কারণে কোনও পৌষমেলা হয়নি।
এদিকে, ২০২১ সালেও পৌষমেলা হবে কিনা এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ এখনও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। প্রসঙ্গত, পৌষমেলা শুরু হয় ২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬ ডিসেম্বর মেলা শেষ হয়। করোনার কারণে রাজ্যে অনেক অনুষ্ঠানই বাদ দিতে হয়েছে বা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।