ভাড়ার দোকান নিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি। পুরসভা তরফে পাকা দোকান করতে গিয়েই বিপত্তি! বুধবার ওই দোকান আরপিএফ ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাবড়া স্টেশনের দু'নম্বর প্লাটফর্মে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চা বেচতেন টুকটুকি। দোকানের নাম 'এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি'।
দোকানের নামের কারণে রাতারাতি নেট মাধ্যমে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর টুকটুকি দাস। জানিয়েছিলেন, ইউটিউবে মুম্বইয়ের এক স্টল বিক্রেতাকে দেখেই এমন ভাবনা মাথায় আসে।
খবর ছড়াতেই হাবড়ার বিধায়ক ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবড়া পুরসভায় টুকটুকি দাসকে ডেকে পাঠান। চাকরি দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে। তবে টুকটুকি ব্যবসাই করতে চান।
হাবড়া পুরসভার তরফে স্টেশনে একটি দোকান তৈরির আশ্বাস দেন জ্যোতিপ্রিয়। জানান, নিজের দোকানেই এবার থেকে চা বেচবেন 'এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি'।
টিনের চাল দেওয়া একটি অস্থায়ী ছোট দোকান তৈরি করা হয়েছিল হাবড়া স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সংযোগস্থলে। তবে নতুন দোকান এখনও টুকটুকির হাতে হস্তান্তর করেনি পুরসভা। তার আগেই বিপত্তি!
বুধবার সকালে হঠাৎই আরপিএফ কর্মীরা ওই নতুন দোকান ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।
কেন? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরপিএফের এক কর্মী জানান, স্টেশনে নতুন করে কোনও দোকানে বসতে দেওয়া যাবে না। যে সমস্ত দোকান আগে থেকে রয়েছে আপাতত সেগুলিই থাকবে।
দোকান ভাঙাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল ও আইএনটিটিইউসি তরফে এ দিন স্টেশন চত্বরে মিছিলের পাশাপাশি আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হাবড়া পুরসভার প্রশাসক নারায়ণ সাহা। এ দিন রাতে তিনি ভাঙচুর হওয়া সেই দোকান ঘুরে দেখেন।