Santiniketan: ঘন কুয়াশায় ঢাকল বীরভূম। এর জেরে জনজীবনে প্রভাব পড়ে। যানবাহনের গতিবেশ শ্লথ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বীরভূমের বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট-সহ বিভিন্ন জায়গা ঢাকা পড়েছে ঘন কুয়াশায়। মূলত দিন দুয়েকের নিম্নচাপের পর মেঘ কাটতেই এদিন সকাল থেকে এই ঘন কুয়াশা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আর এই ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালকরা। এর পাশাপাশি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দেরিতে চলছে।
আলতো পায়ে হেমন্ত যখন একটু একটু করে চলে যেতে শুরু করেছে। গত দু'দিন বৃষ্টি পর এবার কুয়াশায় ঢেকেছে শান্তিনিকেতন, সোনাঝুড়ি, শালবাগান।
ঝরে পড়া শিশিরের সঙ্গে কুয়াশায় শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলা, বকুলবীথি, আম্রকুঞ্জ, ঘণ্টাতলা, নতুন বাড়ি, কালোবাড়ি, সিংহ সদন, শান্তিনিকেতন ভবন, কাচের মন্দির যেন অন্য এক ভুবন।
এই সময়ে শান্তিনিকেতনের হিমেল বাতাস দেয় অনাবিল এক প্রশান্তি, খোয়াই বনের ফাঁকফোকড় গলিয়ে পড়ে কুয়াশা।
সকাল হতেই কুয়াশার চাদর মুড়ি দিতে শুরু করে পুরো শান্তিনিতেকন। লাল মাটির রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে তখন মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়াশায় ঢেকে যায় শান্তিনিকেতন, বোলপুর শহর। শান্তিনিকেতনে গাছপালা থাকার জন্য কুয়াশা পরিমান ছিল অনেকে বেশি। আর ঠান্ডার আমেজ নিতে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে পর্যটকেরা। শীত এখন এল কই। তবে এরই মাঝে শান্তিনিকেতনে ভিড় জমিয়েছে কয়েক হাজার পর্যটক।
কুয়াশার কারণে গাড়িচালক থেকে পথচারীদের সমস্য়া হচ্ছে। কথা হচ্ছিল তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে। সমস্যা মেনে নিয়ে তাঁরা জানান এ তো কিছু করার নেই।
কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এমনই ছিল চারপাশ। তবে এ কথা স্বীকার করতে আপত্তি নেই, অসুবিধা যতই হোক, কুয়াশার চাদর গায়ে তুলে নিয়ে বড় মোহময় হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতন।
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এ এক অন্য ছবি। মোড় ঘুরতেই বদলে যাচ্ছে দৃশ্য।
লালু সাহা। গাড়িচালক। কুয়াশা গাড়ি চালানোর সমস্যা তৈরি করেছিল ঠিকই। তবে প্রকৃতির খেয়ালে বোধহয় তিনিও মুগ্ধ। কারণ কথা বলার সময় কোনও বিরক্তি নেই। বলছিলেন, আন্দাজের ওপর গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। সমস্যা তো হবেই। এই তো প্রকৃতি, এটা তো মানতে হবে। কিছু তো করার নেই।