দক্ষিণবঙ্গে একটানা কয়েকদিনের দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলেছে দিন কয়েক আগেই। গত ২৯ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওার বদল এসেছে। প্রায় দু’মাস পর দক্ষিণবঙ্গে গত শুক্রবারই নেমেছে ঝেঁপে বৃষ্টি।
বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দাবদাহের দহনজ্বালা জুড়িয়েছে। শুক্রবার বিকেলের পর থেকে শনি, রবি ও সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মুষলধারে বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী বুধবার পর্যন্ত থাকবে ঝোড়া হওয়ার দাপটও। শহর কলকাতায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হতে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যে কারণে সবতকটি জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও আগামী দুদিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী দুদিনে তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাতে পারে। যে কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায় পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এর পরের দুদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
এদিকে আন্দামান সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে তা বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার এর মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং সেই নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবং এর অভিমুখ বাংলা বা ওডিশা উপকূলের দিকে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপমহা-নির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।