আবারও ভাঙল হুগলির (Hooghly) খানাকুলের (Khanakul) বন্দর এলাকায় মাইতি পাড়ার রূপনারায়ণের বাঁধ। জল ঢুকে প্লাবিক খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
পাশাপাশি খানাকুলের কিশোরপুর এলাকায় প্রবল বর্ষণের জেরে নদী বাঁধে ধ্বস। দ্রুত মেরামতির কাজ চালাচ্ছেন গ্রামবাসী ও এনডিআরএফ-এর কর্মীরা।
আরামবাগে (Arambagh)দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ উপচে জল ঢুকে প্লাবিত শহরের ২,১২,১৬,১৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। যার জেরে উঁচু জায়গায় উপর ত্রিপল দিয়ে তাবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ওই সমস্ত এলাকার দুর্গত মানুষজন। এছাড়াও অনেকেই সরকারি ত্রাণ শিবিরেও আশ্রয় নিয়েছেন।
গৃহহীন হয়ে পড়ছেনে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। শহরের ভিতরে চলছে নৌকা। ত্রাণশিবির খুলে পৌরসভার পক্ষ থেকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে খানাকুলের বন্দিপুর এলাকায় উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে জলের তোড়ে উল্টে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীদের স্পিড বোর্ড। দুর্ঘটনায় তলিয়ে যান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩ সদস্য ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ সদস্য।
নিখোঁজদের খোঁজে জলে তল্লাশি শুরু করে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, আরামবাগের বন্দিপুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। জলবন্দি মানুষজনকে উদ্ধার করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর স্পিডবোটটি।