সদ্য উপকূল ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে সাইক্লোন সিতরাং। আর তারপরই একটু একটু করে পারদ নামতে শুরু করেছে। আর এবার কলকাতার পারদ নামল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার যা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনে ৪ ডিগ্রি পারদ পতন। গত ১০ বছরে অক্টোবরে কলকাতার শীতলতম দিন ছিল শনিবার। শেষবার অক্টোবরেই পারদ ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল ২০১২ সালে। সেবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি। এবার তারও নীচে নামল পারদ।
ভোরের বেলায় শিরশিরানি হাওয়ায় হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে শহরজুড়ে। বেলা বাড়তেই গুমোট পরিস্থিতি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন এমনই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে কলকাতায়। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে।
জেলায় জেলায় আরও বেশি ঠাণ্ডার আমেজ। পাকাপাকিভাবে শীত প্রবেশ না করলেও রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে হেমন্তের আমেজ। ভোরের দিকে রীতিমতো অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা একধাক্কায় নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত না হলেও অস্বস্তিকর গরমও নেই।
আপাতত শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। মাঝে মধ্যে মেঘলা আকাশ থাকলেও, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোথাও কোথাও ভোরের দিকে হাল্কা কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তবে এখনও শীত আসতে দেরি রয়েছে। এমন শীতল ভাব বজায় থাকবে শহরে। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে।
উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া আপাতত শুকনো থাকবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গেও আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত দিন বা রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কলকাতার তুলনায় রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কম থাকবে।
তবে শীত ঠিক কবে থেকে সেব্যাপারে এখনই কোনও পূর্বাভাস দিতে রাজি নয় আবহাওয়া দফতর। তাই আপাতত বঙ্গে শীত প্রবেশের কোনও সম্ভাবনাই নেই। শীতের প্রবেশ ১৫ ডিসেম্বরের আগে ঘটার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
এদিন অর্থাৎ রবিবার কলকাতারর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সকালের দিকে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। রবিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম।সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।