খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে এখনও জল নামেনি সব জায়গায়। যার জেরে বাড়ির ছাদ বা ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই।
সবথেকে বেশি বিপাকে পড়ছেন খানাকুল এক ও দুই নম্বর ব্লকের ধনগড়ি এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকাতেই জল সবথেকে বেশি ঢুকেছিল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সাত দিন কেটে গেলেও এখনও দেখা মেলেনি জনপ্রতিনিধিদের। কার্যত আধপেটে খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। নৌকা ছাড়া যাওযা আসার অন্য কোনও মাধ্যমই নেই। তাই জল কবে নামবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
আবার ভেঙে পড়েছে শতাধিক মাটির বাড়ি। অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও এলাকায় সেইভাবে ত্রাণ পৌঁছায়নি। এরইমধ্যে অনেকে আবার অসুস্থ হতেও শুরু করেছেন। তবে জলবন্দী থাকার কারণে বাইরে পা রাখতে পারছেন না।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকার। ফলে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই পানীয় জলের অভাবে বন্যার জল কোনওরকমে ফুটিয়ে খাচ্ছেন।
ধনকড়ির বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, জল নামার পরও তাঁদের চিন্তা কাটবে না। কারণ, বাড়ি-ঘর তৈরি করে নতুনভাবে সব শুরু করতে বেশ সময় লাগবে। রাস্তাঘাটের দশাও বেহাল।
তবে অতদূরের ভাবতে রাজি নন অনেকেই। একাংশের বক্তব্য, জল নেমে গেলে পরিস্থিতি আবার আগের মতো হবে। সরকার সাহায্য করলে দ্রুত ছন্দে ফিরবে খানাকুল।