চৈত্রের শেষেই দাবদাহ সাংঘাতিক আকার নিয়েছিল। সূর্যের তেজে ওষ্ঠাগত প্রাণ। তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। এবারের পয়লা বৈশাখও তীব্র গরমের মধ্যে দিয়ে কাটল বাঙালির।
শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালে নববর্ষে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি।ফলে ৮ বছরে দ্বিতীয় উষ্ণতম নববর্ষ পেল কলকাতায়। তবে জলীয় বাষ্পের জেরে গতকাল তাপের দাপট কিছুটা কমেছিল। শুক্রবারের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম ছিল কলকাতায়। আজ অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল থেকে ফের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে হাওয়া অফিস।
গনগনে রোদে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলাতেই। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য দুই-তিনটি জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
শনিবার হঠাৎ করেই শুকনো গরমের মধ্যেই আর্দ্রতা বেড়ে গিয়েছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝাড়খন্ড থেকে তামিলনাডু পর্যন্ত অক্ষরেখা রয়েছে। এর প্রভাবে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। সেই কারণেই আচমকাই সাময়িক আবহাওয়ার পরিবর্তন। বিক্ষিপ্তভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ।
এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে শনিবার। কলকাতা সহ উপকূলের জেলাগুলিতে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়ে। তবে আজ থেকে ফের শুষ্ক আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়বে ১/২ ডিগ্রি।
হাওয়া অফিস বলছে, সোমবার থেকে রাজ্যে ফের মেঘ মুক্ত পরিষ্কার আকাশ। ফলে শুকনো গরম ও লু বইবার সম্ভাবনা। বুধবার পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে রাজ্যে। এই পরিস্থিতি আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আপাতত চার পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গেও গরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। ইতিমধ্যেই স্বাভাবিকের দু-তিন ডিগ্রি উপরে তাপমাত্রা। আরো এক দু ডিগ্রি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা। নীচের দিকের জেলা মালদা ও দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে।