নতুন বছরের তৃতীয় দিনেও জাঁকিয়ে শীত বাংলা জুড়ে।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকই বলছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তুরে হাওয়ার কারণে ঠান্ডার আমেজ রইল সারাদিন।
তবে দিন কয়েকের মধ্যে শীতের এই আমেজ ফিকে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।কারণ, দুয়ারে কড়া নাড়ছে একটি নয়, পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী পাঁচ দিন উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। রাতের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। যে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে সেটা আরও আগামী ৭২ ঘন্টা থাকবে।
তবে ৭২ ঘন্টা পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। অর্থাৎ ঠান্ডা কমবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আগামী কয়েকদিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির রাতের তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো হ্রাস পেলেও, ৫ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।
পরপর দুটো পশ্চিমী ঝঞ্জা উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রবেশ করবে তাই উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বাধা পাবে, তার জন্যই তাপমাত্রা বাড়বে।
হাওয়া অফিসের আশঙ্কা, ঝঞ্ঝার জোড়া ফলায় উধাও হবে শীত। বাধা কাটিয়ে ফের কবে থেকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে, সেব্যাপারেও কোনও ইঙ্গিত দিতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
বরং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।