Advertisement

পঃ মেদিনীপুরে ছাত্রকে একসঙ্গে ২ ডোজ COVID টিকা! উদ্বেগে পরিবার

ছাত্র-ছাত্রীদের করণা টিকাকরণ কর্মসূচিতে বিপত্তি বাধল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার আলোককেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে। এক ছাত্রকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি ডোজ দিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ভুলের দায় কার, তা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে।

নবম শ্রেণীর ওই ছাত্র উমেশ পাঁড় ও তাঁর বাবা উত্তম পাঁড়।—নিজস্ব চিত্র।
শাজাহান আলী
  • ডেবরা,
  • 19 Jan 2022,
  • अपडेटेड 2:19 PM IST
  • ছাত্র-ছাত্রীদের করণা টিকাকরণ কর্মসূচিতে বিপত্তি বাধল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার আলোককেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে।
  • এক ছাত্রকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি ডোজ দিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
  • এই ভুলের দায় কার, তা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে।

ছাত্র-ছাত্রীদের করণা টিকাকরণ কর্মসূচিতে বিপত্তি বাধল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার আলোককেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে। এক ছাত্রকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি ডোজ দিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ভুলের দায় কার, তা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। তবে এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে ওই ছাত্রের পরিবার। 

আলোককেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের করণা টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। গত সোমবার এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র উমেশ পাঁড়-এর টিকাকরণ হয়। ওই ছাত্রের বাবা উত্তম পাঁড় বলেন, "ওইদিন আমার ছেলে একটি ডোজ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখন দিদিমণিদের ভুলেই তাকে আরও একটি ডোজ দিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টা বিদ্যালয়ে জানিয়েছি। এখন আমরা চিন্তায় রয়েছি ওর কোনও সমস্যা হবে কিনা, তা ভেবে।"

এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে এর মাঝেই মঙ্গলবার ডেবরা হাসপাতলে ওই ছাত্রের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।

ডেবরা ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক আরিফ হাসান বলেন, "পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকেরাই ওই ছাত্রকে টিকা দেওয়ার ঘরে দ্বিতীয়বার পাঠিয়েছিলেন। সে জন্যেই এই সমস্যা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রের শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। কোনও সমস্যা নেই।"

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটি পৃথক অবজার্ভেশন রুম রাখা হয়েছিল। উমেশ টিকা নেওয়ার পর সেই অবজারভেশন রুমে না গিয়ে টিকা দেওয়ার রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। ফলে তার টিকা দেওয়া হয়নি মনে করে পুনরায় টিকা দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার টিকা দেওয়ার সময় উমেশ নিজেও স্বাস্থ্যকর্মী বা শিক্ষক— কাউকেই কিছু বলেনি। এতেই সমস্যাটা তৈরি হয়েছে।
 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement