ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে এসে অধিকারী পরিবারকে টার্গেট করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। নাম না করে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী ও প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন তিনি।
আজ তাজপুরে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। তদন্ত হবে। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারের জন্য গোটা জেলার সর্বনাশ হয়েছে। কথা দিচ্ছি চোররা ধরা পড়বে।'
আরও পড়ুন : TET পাশের সার্টিফিকেটের বৈধতা আজীবন, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
তাজপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। তাঁদের খবরাখবর নেন। অভিষেককে এলাকার লোকজন জানান, আগে বাঁধ ঠিক করতে হবে। না হলে বিপদ বাড়বে। তা শুনে এই তৃণমূল সাংসদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।
বাঁধের বর্তমান অবস্থা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তৃণমূলের নম্বর টু। প্রশাসনিক আধিকারিকরা অভিষেককে জানান, বাঁধ করেছিল সেচ দফতর। আর রাস্তা দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। যা শুনে ক্ষুব্ধ হন অভিষেক। বলেন, 'জেলার এক জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তিনি। আর একজন নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন।' শুভেন্দু ও শিশির অধিকারীর সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যে অভিষেক আক্রমণ করেন তা তাঁর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার।
আরও পড়ুন : 'মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বন্ধের চক্রান্ত!' বিস্ফোরক অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের
তবে এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেও তাঁরা ফোন তোলেননি।