Bakhtar Mondal Passes Away: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বক্তার মণ্ডল (Bakhtar Mondal)। তিনি ছোট আঙারিয়া (Chhoto Angariya) কাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী, মামলার সাক্ষী। রবিবার নিজের বাড়িতে তিনি (Bakhtar Mondal) প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন
এদিন দলের বৈঠক সেরে বাড়িতে ফিরে চেয়ারে বসেছিলেন। সে সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে (Bakhtar Mondal) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ি যান দলের বিধায়ক থেকে নেতারা।
আরও পড়ুন: FD থেকে কামান ভাল রিটার্ন, এই ব্য়াঙ্ক দিচ্ছে ৬ শতাংশ সুদ, দেখুন তালিকা
পাশে দল
ঘটনার পরে ছোট আঙারিয়া গ্রামে তাঁর (Bakhtar Mondal) বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা সেবাব্রত ঘোষ-সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা। পরে সেখানে হাজির হয়েছিলেন গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা। সমবেদনা জানান সকলেই পরিবারকে।
আরও পড়ুন: গাঁজা-ভাংয়ে লুকিয়ে রয়েছে করোনাকে খতম করার হাতিয়ার, তবে সতর্কও করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
উত্তরা সিংহ জানান, বক্তার মণ্ডল (Bakhtar Mondal) দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে গড়বেতার ৩ নম্বর অঞ্চলের নেতা ছাড়াও সংখ্যালঘু সেলের নেতা হিসেবেও কাজ করছিলেন। এদিন সকালে সংখ্যালঘু সেলের বৈঠক সেরে বাড়িতে ফিরে চা খাচ্ছিলেন।
তখনই চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেছেন। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি, পরিবারের পাশেই থাকবে দল।
রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় ফেলে দেওয়া সেই ঘটনা
২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার ছোটো আঙারিয়া গ্রামে বক্তার মণ্ডলের মাটির বাড়িতে তৃণমূলের কর্মীরা একটি বৈঠকে বসেছিল সন্ধেবেলায়। বাম আমলে তৃণমূলের সেই বৈঠকের বিষয়ে স্থানীয় সিপিআইএমের নেতারা জানতে পেরে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সিপিআইএমের সশস্ত্র বাহিনী বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে মাটির বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
যাঁরা বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের গুলি করে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ছিল। ঘটনার সময়ে কেবল মাত্র বক্তার মণ্ডল কোনও ভাবে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বক্তার দাবি করেছিলেন, ঘটনায় ৫ জনকে খুন করে দেহ লোপাট করেছিল সিপিআইএমের নেতারা। সেই কাণ্ডের তদন্তে আজও মামলা চলছে। তদন্তে রয়েছে সিবিআই। এই মামলাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে পরে বেকসুর খালাসও হয়েছেন গড়বেতার সিপিআইএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি সহ একদল নেতা।
তবে এই কাণ্ডে ফেরার থাকা দিল মহম্মদ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে ফের মামলা শুরু করেছে সিবিআই। তার মাঝেই মৃত্যু হল বক্তার মণ্ডলের।
এদিন সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে এই কাণ্ডের যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।" তাঁর দাবি, ফের রাজনৈতির উদ্দেশ্যে একজনকে গ্রেফতার করে মামলা শুরু হয়েছে। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন।