মুর্শিদাবাদ জেলায় একটিও আসন নিজেদের দখলে রাখতে পারল না কংগ্রেস। দলের সভাপতি অধীর চৌধুরীর খাসতালুক বলে পরিচিত এই জেলায় কার্যত ধরাশায়ী কংগ্রেস। এই প্রথমবার জেলাতে আসন জিতল বিজেপি। আবার তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে এখানে।
জেলার মোট ২২ আসনের মধ্যে ২০টি আসনে ভোট হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। এই ফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বাম-কংগ্রেস জোট।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় কংগ্রেস ১৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। সেখানে তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ৪টি করে আসন পায়। তবে এবার আশাতীত ফল পেয়েছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন : 'জয়ের জন্য মমতা দিদিকে অভিনন্দন', টুইটবার্তা মোদীর
মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের এই ফল হবে তা ভাবতে পারেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারনা ছিল, জেলায় অন্তত ১০-১২টি আসন পাবে বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সেই সব হিসেব উল্টে যায় ফল সামনে আসার পর। গণনার দিন সকাল থেকেই প্রতিটি আসনে এগিয়ে যেতে শুরু করে তৃণমূল। সময় যত এগোতে থাকে, ততই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বাড়তে থাকে।
ফলাফল সামনে আসার পর, সিপিএম-এর মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী বলেন, 'মানুষের রায় পেতে নিয়ে আমাদের এই ফলের ময়নাতদন্ত করা হবে।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'কী কারণে মানুষ আমদের প্রত্যাখ্যান করল তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হবে। তবে আমার মনে হয় মুখ্যমন্ত্রী এই জেলায় এসে ৩ দিন ছিলেন। তিনি ধর্মীয় মেরুকরণ করে ভোট করান। এতেই মালদা ও মুর্শিদাবাদে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। আমরা মানুষকে হয়তো সঠিকটা বোঝাতে পারিনি।'
আরও পড়ুন : 'পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ আমরা', এখন বলছে বিজেপি
তবে জেলায় খাতা খুলতে পেরে খুশি বিজেপি। মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর আসন জিতেছে তারা। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, 'মুর্শিদাবাদে দুটি আসনে হলেও মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। তবে আরও কয়েকটি আসনে জয়ের আশা করেছিলাম।'