গতবছর করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল। সবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছিল অর্থনীতি। কিন্তু, ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি যেন ফের চোখ রাঙাচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এভাবে চলতে থাকলে অর্থনীতি আরও ক্ষতির মুখে পড়বে। যার কুফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন : হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা, জানুন
অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে অন্তরায়গুলি হল
১) করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকার ফলে বেচা-কেনায় প্রভাব পড়ছে। গ্রাহকরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে গুরুত্ব কমছে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের। ধাক্কা খাচ্ছে, বাড়ি, গাড়ির মতো শিল্প। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি-গাড়ি কিনতে চাইবে না সাধারণ মানুষ। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে এই সব শিল্প ও এর সাথে যুক্ত লোকজন।
২) কোনও কোনও রাজ্য ইতিমধ্যেই লাইট কারফিউ জারি করেছে। আবার কোনও কোনও রাজ্য সরাসরি লকডাউনের পথে হেঁটেছে। এতে অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া অন্য কোনও জিনিস সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না। প্রভাব পড়ছে পরিবহন, পর্যটন শিল্পেও। ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়ছে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হলে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে। যেগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ।
৩) করোনার ভ্যাকসিনের অভাব অর্থনীতিকে দুর্বল করছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, ভ্যাকসিন না পাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ব্যবসা বাণিজ্যে, শিল্পে। অর্থনীতিবিদদের মত, ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ালে সমস্যা অনেকটাই মিটবে। তবে এখনই তেমন কোনও ইঙ্গিত সরকারের তরফে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ভোট পরবর্তী হিংসা: অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনা শুভেন্দুর
৪) গতবারের লকডাউনের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি, পরিবহন, আবাসন, অটোমোবাইল শিল্প। এখন ফের লকডাউন হলে এই শিল্পগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৫) লকডাউনের জেরে বাড়বে বেকারত্ব। কর্মহীন হয়ে পড়বেন লাখ লাখ মানুষ। কমবে উৎপাদন। যা সরাসরি ধাক্কা দেবে অর্থনীতিকে।
৬) বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ফের হতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। বেকারত্ব বাড়লে উৎপাদন কমবে। কমবে জিনিসের চাহিদাও। ফলে মূল্যবৃদ্ধির পথে হাঁটতে হবে সরকারকে।