উপনির্বাচনে বাংলায় ফের সবুজ-সুনামি। ৬টি কেন্দ্রে ৬টিতেই ঘাসফুল ফুটেছে। ফের বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। কয়েক মাস আগে আরজি কর আন্দোলন ঘিরে যেভাবে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি, উপনির্বাচনের ফলে তার কোনও প্রভাবই পড়েনি। আর এই নিয়ে নির্বাচনী ফল নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে 'সক্রিয়' রাজনীতিতে তাঁর না-থাকা নিয়েও মুখ খুললেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?
উপনির্বাচনের ফল নিয়ে বলতে গিয়ে আরজি কর আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন দিলীপ। এই প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-কে বিজেপি নেতা বলেন, 'আরজি কর নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা অরাজনৈতিক। আগেই বলেছিলাম, অরাজনৈতিক আন্দোলন দিয়ে কোনও রাজনৈতিক লাভ হয় না। কারণ, যাঁরা আন্দোলন করেন, তাঁরা ভোটে লড়লে তবে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিলেন, ভোটে লড়েছিলেন, তখন লোকে ভোট দিয়েছিল। যাঁরা এখানে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা তো ভোটে লড়েননি। কোনও পার্টির নামে আন্দোলন হয়নি। কোন পার্টি তার লাভ পাবে?'
রাজ্যে ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ৫টি কেন্দ্রই তৃণমূলের দখলে ছিল। শুধুমাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির দখলে। এবার মাদারিহাট হাতছাড়া হল পদ্মশিবিরের। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, '৬টার মধ্যে ৫টা তৃণমূলের ছিল। ১টা আমাদের ছিল। ২০১৯ সালে এত ভার ফল করার পরও উপনির্বাচনে আমরা হেরেছিলাম। আবার একুশে জিতেছিলাম সেগুলো। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরও তাই হচ্ছে। উপনির্বাচন যতগুলো হচ্ছে, তৃণমূল জিতছে। যেমন ইচ্ছা জেতে। এতে বেশি কিছু আশাও কেউ করেনি।'
চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনেও মেদিনীপুরে ধাক্কা খেল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, 'মেদিনীপুরে কোনওদিন আমরা জিতেছি কি! লোকসভায় আমি লিড পেয়েছিলাম। তারপর বিধানসভায় হেরেছি আমরা। এই লোকসভা নির্বাচনেও হেরেছি। জেতার প্রশ্নই নেই।' তাঁর সংযোজন, 'ভোটের ফল ভাল না হলে রাজ্য নেতৃত্বের দিকে আঙুল উঠবে। কিন্তু এখানে উপনির্বাচন এখানকার সরকার করায়ষ। ভোট দিতে বেরোয় না বিরোধীরা।'
কেন সক্রিয় ভাবে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না, সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন দিলীপ। বলেছেন, 'দল আমাকে যতটা বলছে, ততটাই করছি। জেলায় জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে, সেখানে যাচ্ছি। ভোটের প্রচারেও গিয়েছিলাম। তার বেশি নয়। আমার কোনও পদ নেই, কোনও কমিটিতে নেই। দলের সিদ্ধান্ত নিই না। দল যা সিদ্ধান্ত নেয়, তা পালন করি।'