হাওড়ার উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় রোগীর পরিবার-পরিজনরা। তাঁদের অভিযোগ, গতকাল রাত থেকেই হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল না। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। সেই কারণে ২ রোগী মারা গিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়ার কাছেই বীরশিবপুর ও সিসবেরিয়া এলাকার ২ জন কোভিড রোগী কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আজ সকালে ওই ২ জনের মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। সকালে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপর দুপুরে চলে দফায় দফায় ভাঙচুর। ভেঙে দেওয়া হয় হাসপাতালের আসবাবপত্র ও দরজা।
আরও পড়ুন : কোভিডে গ্রাস করছে দুশ্চিন্তা? এইভাবে বিনামূল্যে পান থেরাপি
এক রোগীর আত্মীয় শেখ সাবির আলি অভিযোগ করেন, উলুবেড়িয়া হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যুর ঘটনা। গতকাল রাত থেকে রোগীদের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের অনুরোধ করেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, অনেক রোগী অক্সিজেনের অভাবে এখানে ভর্তি হতে পারছেন না। তাঁদের অসুস্থ অবস্থাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকার প্রসঙ্গে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেন, এখন অক্সিজেনের চাহিদা ২০ গুণ বেড়েছে। যে সংস্থা অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলিংয়ের কাজ করছে তারাও অনেক বেশি সময় নিচ্ছে আগের তুলনায়। আগে ২৪ ঘণ্টায় অক্সিজেন রিফিলিংয়ের কাজ হত। এখন তা দুই তিন দিন ধরে হচ্ছে। এই হাসপাতালের ক্ষেত্রে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন : VIDEO: বিধানসভায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলেন ইন্দ্রনীল সেন ও অদিতি মুন্সি
প্রসঙ্গত, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এরইমধ্যে সামনে এল অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ।