Durga Puja Gets UNESCO Tag: বাংলা-বাঙালির দুর্গাপুজো (Durga Puja) পেয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)-র স্বীকৃতি। দিন কয়েক আগে সেই সম্মান দিয়েছে তারা। দুর্গাপুজো (Durga Puja)-কে হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো (UNESCO)। এর ফলে আরও উৎসাহ পেয়েছেন দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত শিল্পী থেকে শুরু করে পুজোকর্তারা।
পদযাত্রার ডাক
সেই সম্মান উদযাপন করতে তাঁরা পদযাত্রার ডাক দিলেন। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার আকাদেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। যাঁরা দুর্গাপুজো (Durga Puja)-র সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা পুজো ভালবাসেন, তাঁরা এই পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন। পদযাত্রায় থাকার কথা শিল্পী, পুজো কমিটির লোকজন, কর্পোরেট, দর্শকদের।
আরও পড়ুন: বক্সায় রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা, নিরাপত্তার জন্য বন্ধ থাকছে জাঙ্গল সাফারি
খুশি সবাই
শিল্পী অনির্বাণ দাস বলেন, ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় সবাই খুশি। তাঁর মতে, এর ফলে আরও বেশি বিদেশি দর্শক দুর্গাপুজো দেখতে আসবেন। এখন আসেন। সেই সংখ্য়া বাড়তে পারে। নতুন স্পনসরও আসতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রেমে ধাক্কা খেয়ে আত্মঘাতী TMC কাউন্সিলর, সঙ্গী UP থেকে পাকড়াও
পদযাত্রায় অংশ নেবেন অনির্বাণ। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, "হোলনাইট ঠাকুর দেখতে কম ত হাঁটেননি। এবার না হয় ঠাকুর ছাড়া পুজর জন্যই হাঁটলেন। আসেন কিন্তু। কলকাতার দুর্গাপুজোর দিব্যি।"
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা! তোলপাড় দাশনগর
করোনার ধাক্কা
করোনার কারণে গত দু বছরে যেটা ধাক্কা খেয়েছে। পুজো বন্ধ হয়নি। তবে তার জৌলুস অনেকাংশে কমে গিয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং বিজ্ঞাপনদাতা বা স্পনসর কম মিলেছে।
আরও পড়ুন: 'কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না,' সোজাসাপ্টা রোহিত শর্মা
ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পর বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)।
মমতার উদ্য়োগ
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুজো কমিটিতে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেন।
আরও পড়ুন: 'আপনার ব্রা কোথায়?' Esha Gupta-কে প্রশ্ন নেট-নাগরিকদের
এর পাশাপাশি বড় পুজোকমিটিগুলির কাছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) আর্জি জানান, যাতে তারা তুলনামূলক কম বড় পুজোকমিটিগুলোকে তারা সাহায্য করে। তিনি শুরু করেচিলেন কার্নিভালও। যেখানে শহরের বড় বড় পুজোগুলো দেখার সুযোগ থাকে। দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর আয়োজিত হয় কার্নিভাল। যেন রয়ে যায় উৎসবের রেশ।
উৎসবে মাতে বাংলা
দুর্গাপুজো ৪ দিনের জন্য হয়। তবে মাসখানেক আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। কর্মসূত্রে অনেকেই বাড়ির বাইরে থাকেন। তাঁরা সে-সময় চলে আসতে চান দেশের বাড়িতে। সপরিবারে উৎসবে মাতবেন বলে। নয়া রূপে সেজে ওঠে বাংলার আনাচ-কানাচ।
ধর্মের আঙিনা ছেড়ে দুর্গাপুজো উৎসবের চেহারা নিয়েছে। কলকাতায় প্রায় ২,৭০০টি দুর্গাপুজো হয়। আর সারা রাজ্য়ে সে সংখ্যা ৩৭ হাজারের কাছাকাছি।