Eastern Railway: পূর্ব রেল (Eastern Railway)-এর স্ক্র্যাপ বা ছাঁট মালের বিক্রির পরিমাণ ছুঁল ২০০ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে এমনই জানানো হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে খুশি রেলকর্তারা।
লালুর দেখানো পথ
রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের সময়ে। সেই মতো বিভিন্ন সময়ে পূর্ব রেল (Eastern Railway) তার বাতিল হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। এই বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: তিনি ছেলে না মেয়ে, জানেই না দল, বিস্ফোরক অভিযোগ BJP প্রার্থীর
এক ঢিলে তিন পাখি
সম্প্রতি পূর্ব রেল (Eastern Railway) একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই বিক্রি করা হয়। এতে একদিকে যেমন আয় বাড়ে। ঠিক তার পাশাপাশি কাজের জন্য জায়গার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে রেল ট্রাকের কাছে পরে থাকা এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও কমে।
আরও পড়ুন: দলের বৈঠকে গরহাজির কেন? নুসরত-মিমিকে শোকজ TMC-র
এই পথে বাড়ছে আয়
রেল ট্র্যাকের দেখভাল করার কাজের সময় এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেই পূর্ব রেল সূত্রে খবর। বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই বাতিল যন্ত্রাংশের বিক্রি থেকে একদিনে রেল (Eastern Railway)-এর আয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এবং এই বছরের এখনও অবধি মোট আয় ২০৩ কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: কলা-ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে সুতো-কাপড়, রয়েছে বাঁশও, দেখুন
যা কিনা গত বছরের তুলনায় ৮০% বেশি বলেই রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিক্রি বৃদ্ধির পরিমাণ দেখে এই বছর রেল বোর্ড ২৬৫ কোটি টাকার যে লক্ষমাত্রা দিয়েছিল, তা সামনের বছর মার্চ মাসের আগেই পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাদামকাকুর সঙ্গে তুমুল নাচ স্যান্ডি সাহার, সেরে নিলেন 'মালাবদল'
টিকিটের দাম না বাড়িয়ে
প্রসঙ্গত রেলের যাত্রী টিকিটের দাম না বাড়িয়ে অন্যান্য উপায়ে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় রেল বোর্ড। পাশাপাশি কোভিড (COVID)-এর কারণে দীর্ঘ লকডাউন (Lockdown) থাকায় দুরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল অনেক মাস।
আরও পড়ুন: সংস্কারের আশ্বাস, আত্রেয়ীর রাইখর মাছ ফের পাত পেড়ে?
করোনা ধাক্কা সামলে
যার জেরে লোকসানে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। সেই লোকসানের হাত থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে এই বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি একটি অন্যতম উপায় বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল। এবং দেখা যাচ্ছে তা থেকে ঘরে অনেক টাকা তুলেছে রেল।