আরজি কর-কাণ্ডের পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানের জন্য প্রাক্তন পুলিশ অফিসার, প্রাক্তন সেনা/বিমান বাহিনী/নৌবাহিনীর আধিকারিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এবার থেকে হাসপাতালের সুরক্ষার বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতাল যথেষ্ট সুরক্ষিত কিনা, তা সরাসরি নজরদারি করবেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, প্রাক্তন সেনা, এয়ার ফোর্স, নেভির অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা। আগামী ২৪ অগাস্টের মধ্যে এর জন্য আবেদন করতে হবে।
এর মাধ্যমে হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটির ব্যবস্থা আরও জোরদার করা যাবে বলে মনে করছে নবান্ন। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা।
মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে জারি হওয়া নোটিসে পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের, গত ২ বছরে অবসর নেওয়া পুলিশ ইনস্পেক্টর থেকে এসপিদের, যাঁরা এখনও কর্মক্ষম এবং কাজ করতে ইচ্ছুক, তার তালিকা করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার, নৌবাহিনীর অফিসার বা বায়ুসেনার অফিসারদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগের সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে বিশদে পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
আরজি করের ঘটনার দিন পুলিশি প্রহরা সত্ত্বেও বিনা বাধায় হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং সেখানে যাতায়াত থাকার সুবাদে বিনা বাধাতেই, মদ্যপ অবস্থায় সে হাসপাতালে প্রবেশ করে। এরপর মধ্যরাতে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানেও সে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেমিনার হলে অপরাধ ঘটার সময়ও কেউ কেন টের পেল না? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তার গলদের ছবিটাই প্রকট হয়েছে।
আরও পড়ুন: RG Kar Doctor Murder Accused Sanjay Roy: সেই রাতে সোনাগাছি গিয়েছিল সঞ্জয়, এক মহিলার কাছে চেয়েছিল নগ্ন ছবিও: সূত্র
ফলে আপাতত নিরাপত্তায় জোর দিতে এবার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক, এক্স-নেভি/এয়ারফোর্স/আর্মি আধিকারিকদেরই উপর ভরসা নবান্নের।