Advertisement

Nadda convoy attack: FIR-এ এই বিজেপি নেতার নাম, কে এই রাকেশ সিং?

জাতীয় নেতার কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুটি FIR দায়ের করেছে। তৃতীয়টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু কে এই রাকেশ সিং? তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ই বা কী?

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে রাকেশ সিং।
দেবস্মিতা দাস
  • কলকাতা ,
  • 11 Dec 2020,
  • अपडेटेड 11:30 PM IST
  • নড্ডার গাড়িতে হামলার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে
  • কিন্তু কে এই রাকেশ সিং? তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ই বা কী?
  • রাকেশ সিংহ বরাবরই রাজনৈতিক আঙিনার জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত নেতা

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বঙ্গ সফরে কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের সভার আগে পদ্ম শিবিরের জাতীয় নেতার কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুটি FIR দায়ের করেছে। তৃতীয়টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু কে এই রাকেশ সিং? তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ই বা কী?

অধীর চৌধুরি নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা রাকেশ সিংহ বরাবরই রাজনৈতিক আঙিনার জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত নেতা। রাকেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অনুগামী বলেই পরিচিত ছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনের আগেই অবশ্য হাত শিবির বদলে বিজেপি দলে যোগ দেন রাকেশ সিং।

কংগ্রেসে তিনি মূলত শ্রমিক নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচার ভবনে এক মামলার সাক্ষী ও কতর্ব্যরত পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে রাকেশ-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জেল হেফাজতে যাওয়ার পর একাধিক বার অধীরবাবু আলিপুর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাকেশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এমনকী দলীয় সূত্রে খবর ছিল সেই সময় রাকেশকে জেল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন অধীর। তবে শেষমেশ বেঁকে বসেছিলেন রাকেশই।

কলকাতা পুরসভার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাকেশের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এই অধীর অনুরাগীর। এরপর সে বছরের জানুয়ারিতে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করতে গিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিংমলে হামলা চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় তাঁর। এই ঘটনায় চিড়িয়াখানার কাছে, তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার অফিসারেরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। রাকেশের রাজনৈতিক ইতিহাস জানায়, শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে বারবার পথে নেমে দলের কর্মীদের নিয়ে ‘শক্তিপ্রদর্শন’ করতে গিয়ে ক্ষিণ কলকাতার এই নেতাকে বহুবার গ্রেফতার হতে হয়েছে। 

Advertisement

কিন্তু লোকসভা নির্বাচন সামনে আসতেই কংগ্রেসের ডাকাবুকো নেতা হাত ছেড়েই পদ্মে যোগ দেন। নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতেই চলে এই দল বদলের পালা। দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় প্রার্থীও হন তিনি।

তবে দল বদলেও পুলিশি নজর থেকে বদলে যাননি রাকেশ। ওয়াটগঞ্জ থানায় পুরনো একটি মামলার সূত্রে জুন মাসে ফের তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সে সময় বলা হয়েছিল যে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাকেশকে। এরপর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও দেওয়া হয় এই নেতাকে। কলকাতার চিড়িয়াখানায় মার্মোসেট-কাণ্ড, বিধান ভবনে ভাঙচুর, বন্দর এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে যার বিরুদ্ধে কীভাবে তাঁকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরাও। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement