কালনায় দীর্ঘদিন ধরে তাণ্ডব চালানোর ষাঁড়টিকে ধরতে রীতিমতো কালঘাম ছুঁটল দমকলের। কিন্তু ষাঁড়টিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। কালনা জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো এই ষাঁড়টিকে ঘিরে বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু ষাঁড়টিকে ধরতে গিয়ে যেভাবে দড়ি টানাটানি করেছে দমকল, তা নিয়ে সত্যিই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঠিক কী করেছে ষাঁড়টি
বেশ কয়েকমাস ধরেই এই ষাঁড়ের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। শেষে কালনা পৌরসভার উদ্যোগে দমকল বাহিনী এই ষাঁড়টিকে ধরতে আসে। কিন্তু ধরতে গিয়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ষাঁড়টিকে দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ৫ ঘণ্টা ধরে ফেলে রাখা হয়। টানাটানির ফলে ষাঁড়ের একটি শিংও ভেঙে যায়। গোটা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায় প্রাণীটির।
আরও পড়ুন, Pongal 2021: করোনা আবহেই পালিত হচ্ছে জাল্লিকাট্টু! ষাঁড়ের খেলায় মেতেছেন মাদুরাইবাসীরা
ফলে দমকলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে এই ষাঁড়ের দাপটে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন কালনার বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত এই ষাঁড়ের হানায় ১ জনের মৃত্যু, ৩০ জন আহত ও ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পথ চলতি মানুষের উপর মাঝেমধ্যেই হামলা চালাত এই ষাঁড়টি। ফলে বাড়ির বাইরে পা রাখতে আতঙ্ক বোধ করতেন অনেকে। এমন অবস্থায় ষাঁড়টিকে ধরতে উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু তার ফল যে এরকম হবে তা অনুমান করতে পারেননি কেউই।
কী বলছে দমকল
কালনার দমকল বিভাগের ওসি এনামুল হোসেন এ বিষয়ে বলেন , পুরসভার চেয়ারম্যানের আবেদনে তারা ষাড়টিকে ধরেন। এটা তাদের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। তারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই ষাঁড়টিকে ধরেছেন। তাতে একটু আঘাত পেয়েছে, ষাঁড়টির চিকিৎসা করা হবে। জানা গিয়েছে, ষাঁড়টিকে কলকাতা পিঞ্জরাপল সোসাইটিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। এমনিতে এই বদমেজাজির ষাঁড়ের দাপট ছিল এলাকাজুড়ে। অনেক নিরীহ পথচারী ষাঁড়ের হামলার শিকার হয়েছেন। ফলে ক্রমশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এলাকার মানুষজন। এখন এই ষাঁড়কে ধরে নিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও হাফ ছেড়েছেন স্থানীয়রা।