Bengal Tourists died in Uttarkashi Uttrakhand: ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু হল রাজ্যের ৫ বাসিন্দার। মারা গিয়েছেন গাড়ির চালকও। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরকাশীতে। তাঁদের গাড়ি থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সোনারপুর, ব্য়ারাকপুর এবং নিউ গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে এক পরিবারের ৩ সদস্য রয়েছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, তাঁরা এর আগেও পাহাড়ের টানে ছুটে গিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ে। এবারও তেমনই গিয়েছিলেন। তবে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ থেকে যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি।
ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন
জানা গিয়েছে, এ রাজ্য থেকে গঙ্গোত্রী উত্তর কাশীতে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। যাত্রীদের বোলেরো গাড়ি গঙ্গোত্রী মহাসড়কের কামান্দের কাছে একটি গর্তে পড়ে যায় এবং গাড়িটি খাদে পড়েই আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে আসে উদ্ধারকারী দল। তারা উদ্ধারের কাজ শুরু করে। যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: হাফ দামে এসি-র হাওয়া খান, অনলাইনে বাম্পার অফার
আরও পড়ুন: WBCS 2022 পরীক্ষা কবে হবে? সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানিয়ে দিল PSC
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান
ওই ঘটনার প্রত্য়ক্ষদর্শী জয়িতা বর্মন বলেন, "ওই গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার ফেটে যায়। আর তারপর গাড়ি খাদে পড়ে যায়। পিছনেই ছিলাম। পরে পুলিশ, সংবাদমাধ্যম আসে।" তিনি এ ব্য়াপারে ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন। যাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের কাছে এই ঘটনার কথা জানানো যেতে পারে।
ওই ঘটনায় গাড়ি থাকা সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। মৃতদের মধ্যে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলেও রয়েছে। অভিযোগ, যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই রাস্তার বেহাল দশা।
নিহতদের পরিচয়
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গণেশ দাস। তাঁর বাবার নাম প্রদীপ দাস। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শ্যাম রোডে। মদন মোহন ভুঁইয়া, তাঁর স্ত্রী ঝুমুর ভুইঁয়া এবং ছেলে নীলেশ নিবাসী। তাঁরা নিউ গড়িয়া থানা এলাকার সোনাপুর থাকতেন। নিহতমদের মধ্য়ে রয়েছে নিমাইচন্দ্র দেবনাথ। তিনি ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। ওই ঘটনায় মারা গিয়েছে গাড়ির চালকও। তাঁর নাম প্রেম দাস। তিনি গ্রাম পোস্ট হর্ষিল, জেলা উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার মুখোয়া গ্রামে থাকতেন।
ওই ঘটনার প্রত্য়ক্ষদর্শী জয়িতা বর্মন বলেন, "ওই গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার ফেটে যায়। আর তারপর গাড়ি খাদে পড়ে যায়। পিছনেই ছিলাম। পরে পুলিশ, সংবাদমাধ্যম আসে।"