Pegasus ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের অনুরোধ করলেন তিনি।
আজ ভার্চুয়াল সভা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে BJP পরিচালিত কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল Pegasus বিতর্ক। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক BJP বিরোধী দল। রাহুল গান্ধির ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে এই অভিযোগ করেছেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনকেও ট্যাপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। আর একুশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে সেই ইস্যুকেই বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়ে বলেন, 'ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নিন। এখন গণতন্ত্র বাঁচাতে পারে শুধু বিচারব্যবস্থা। BJP-র শাসনে গণতন্ত্র বিপন্ন। ওরা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।'
আরও পড়ুন : পাওয়ার থেকে চিদম্বরম, মমতার 'শহিদ দিবস'-এ দিল্লির কোন কোন নেতা?
এর আগে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, তাঁর ফোনেও আড়িপাতা হয়। আর Pegasus বিতর্ক সামনে আসার পর তিনি ফোন নিয়ে আরও সচেতন হয়েছেন বলে দাবি করে জানান, তিনি তাঁর ফোনে প্লাস্টার করেছেন। তাঁর কথায়, 'আমি চিদম্বরমজির সঙ্গে কথা বলতে পারব না, কারণ আমার ফোন ট্যাপ করা হবে। আমার ইচ্ছা করলেও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারব না। আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারব না। ফোন ট্যাপিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে আমাকে ফোনে প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে।'
BJP-কে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, 'দেশে এখন গণতন্ত্রের বদলে ফোন ট্যাপিং চলছে। 'স্পাইগিরির' জন্য কোটি-কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্রের ওরা। আমি কখন বাড়িতেও ঘুমাচ্ছেন, সেটাও দেখা যাবে। আপনি কী খাচ্ছেন, সেটাও দেখা যাবে। আপনার ব্রেনটাও স্ক্যান করে নিচ্ছে।'