আজ এগরার খাদিকুলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ দিন পর ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে দেওয়ার কথা সরকারি সাহায্য। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্সমূচিকে তীব্র কটক্ষ করেছে বিজেপি।
এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, আজ বেলা সাড়ে ১০টার কিছু পরে এগরার খাদিকুলে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দুরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। তৈরি হয়েছে মঞ্চ। এদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে এই ঘটনায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বসানো হয়েছে গার্ডরেল।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এগরার খাদিকুলে হেলিকপ্টার করে যাবেন, হেলিপ্য়াড তৈরি হয়েছিল। গতকাল জামাই ষষ্ঠী ছিল, আমি বলেছিলাম ভানু বাগের বাড়িতে জামাই ষষ্ঠী করতে যাবেন, কালকে যাননি, আগামী কাল ভানু বাগের শ্রাদ্ধ আছে, ভানু বাগ ওনার সম্পদ। কালকে ভানু বাগের শ্রাদ্ধে খেতে যাচ্ছেন'। কটাক্ষ করতে শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। তিনি বলেন, 'ওনার লোকেরা বোমা ফাটিয়ে লোককে মারবে, আর উনি প্যাকেজ দেবেন। এভাবে ক'দিন চালাবেন? কেন উনি কারখানাগুলো বন্ধ করছেন না'?
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণে মৃত্য হয় কারখানার মালিক তথা মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ-সহ ১১ জনের। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যজুড়ে। ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এনআইএ তদন্তের দাবিও করেন তিনি। আর শুধু এগরাতেই নয়, তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ও মালদাতেও একই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - এবার থেকে রাজ্যে শুধুই সবুজ আতশবাজি, পোড়ানো যাবে মাত্র এই ৩ দিন