পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো ও গ্রেফতারের পর কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এই দুজনেই ছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলার নেতা। এই পরিস্থিতে এবার হুগলি জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ এপ্রিল জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ হুগলি জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইসঙ্গে বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে কলকাতার মেয়র তথা হুগলি জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিমকেও।
প্রসঙ্গত, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। আর যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন কুন্তল ঘোষ। তবে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তবে রাজনৈতিকমহলের কেউ কেউ মনে করছেন, বহিষ্কারের পরেও শাসক দলের পক্ষে সমস্যা হয়েই রয়েছেন ওই দু'জন। লাগাতার সরব বিরোধীরাও। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে কীভাবে কুন্তল-শান্তনু ইস্যুকে বিরোধীদের মোকাবিলা করা যায়, তার জন্য দলনেত্রী কোনও পরামর্শ বা বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি পীরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারিকে হুগলির ফুরফুরা শরীফের একাংশের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে বলেই মত কারও কারও। আর তারপর সাগরদিঘি উপনির্বাচনেও পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের প্রভাব পড়ে থাকতে পারে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে। যদিও ইতিমধ্যেই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে আদিসপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ফুরফুরা শরীফ উন্নয়ন পর্ষদের জন্য নয়া ভবনও তৈরি করা হচ্ছে। এখন দেখার ফুরফুরা নিয়েও ওই বৈঠকে নতুন কোনও দিক নির্দেশ দেন কি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন - বাতের ব্যথায় চূড়ান্ত কষ্ট পাচ্ছেন, ৫ অভ্যাসে মিলবে স্বস্তি