Advertisement

'জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেরও,' উদ্বেগ প্রকাশ মমতার

সম্প্রতি ধস এবং ফাটলের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জোশীমঠে। ভেঙে ফেলতে হচ্ছে একাধিক বাড়ি এবং হোটেল। পাহাড়ি ওই এলাকার মতো ধসের দৃশ্য বারংবার দেখা গিয়েছে এরাজ্যের রানিগঞ্জেও (Raniganj)। মাটির ফাটল থেকে অনেক বার বেরোতে দেখা গিয়েছে ধোঁয়া এবং আগুন। আবার কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে। আর তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

রানিগঞ্জ নিয়ে আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Jan 2023,
  • अपडेटेड 9:04 AM IST
  • রানিগঞ্জ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ মমতার
  • তুলনা করলেন যোশীমঠের সঙ্গে
  • কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ধস ও ফাটলে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ (Joshimath Sinking)। এবার তারই মাঝে রানিগঞ্জ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মেঘালয় সফরে যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেরও। একই এই বিষয়ে কেন্দ্র কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও কার্যত অভিযোগ করেন তিনি। 

মঙ্গলবার জোশীমঠ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেরও। কেন্দ্রের নজর কেবল কয়লা খনিগুলির দিকে। কিন্তু, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা নেই। রানিগঞ্জে প্রায়ই ধস নামে।  গত ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। এই ব্যাপারে বহুবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিছুই দেয়নি। পরিত্যক্ত খনিগুলির দিকে নজর দেওয়া এবং ধস-কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু কেন্দ্র সেই বিষয়ে কর্ণপাত করে না। আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে যতটা সম্ভব এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন।"

সম্প্রতি ধস এবং ফাটলের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জোশীমঠে। ভেঙে ফেলতে হচ্ছে একাধিক বাড়ি এবং হোটেল। পাহাড়ি ওই এলাকার মতো ধসের দৃশ্য বারংবার দেখা গিয়েছে এরাজ্যের রানিগঞ্জেও (Raniganj)। মাটির ফাটল থেকে অনেক বার বেরোতে দেখা গিয়েছে ধোঁয়া এবং আগুন। আবার কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে। আর তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। যদিও রানিগঞ্জের বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, সেখানকার পরিস্থিতি জোশীমঠের মতো অতটা ভয়ঙ্কর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও আজও অধিকাংশ সময়ই কয়লা তুলে নেওয়ার পর খনিগুলি ভরাট না করেই ফেলে রাখা হয়। ফলে প্রায় সময়ই রানিগঞ্জ এলাকায় ধস নামে। এক্ষেত্রে শহরকে বাঁচাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনন কার্যের দাবি জানাচ্ছেন রানিগঞ্জের বাসিন্দারা।

Advertisement

আরও পড়ুন - ফেব্রুয়ারিতেই বৃহস্পতি-শুক্রের মহামিলন, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়ার সম্ভাবনা ৩ রাশির

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement