Advertisement

Exclusive: রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে BJP, দাবি ফিরহাদ-কন্যার

নারদকাণ্ডে রাজ্যের ৩ বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম।

ফিরহাদ হাকিম ও প্রিয়দর্শিনী হাকিম
সূর্যাগ্নি রায়
  • কলকাতা,
  • 18 May 2021,
  • अपडेटेड 7:45 PM IST
  • বিজেপি রাজ্য়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে
  • অভিযোগ করলেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম

নারদকাণ্ডে রাজ্যের ৩ বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যে বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করছে সিবিআই। আর এর পিছনে সরাসরি মদত রয়েছে বিজেপির। 

ইন্ডিয়াটু'ডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়দর্শিনী বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করছে গেরুয়া শিবির। তারা রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ' বিজেপি রাজ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। যখন কোনও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর অনুরাগী বা সমর্থকরা রাস্তায় নামেন। প্রতিবাদ করেন। কারণ, তাঁরা তাঁদের নেতাকে ভালোবাসেন। আর বিজেপি এটাই চাইছে। তারা উস্কানি দিয়ে বা বিভিন্ন অবৈধ পদক্ষেপ করে নেতাদের গ্রেফতার করাচ্ছে। আর তার প্রতিবাদে সাাধারণ মানুষ রাস্তায় নামলেই বলছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আর রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছে।' 

আরও পড়ুন : রাজ্যপালের 'অতিসক্রিয়তায়' রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সম্ভব? কী বলছেন আইনজীবীরা

গতকালই নিজাম প্যালেসের সামনে মাইক হাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রিয়দর্শিনী। তাঁর অভিযোগ, নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর সিবিআই-যে হাইকোর্টে গিয়েছে, এই নিয়ে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে ছিল না। তাঁদের সম্পূর্ণ ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছিল। 

প্রিয়দর্শিনী বলেন, 'জামিন মঞ্জুর হওয়ার হার্ডকপি হাতে চলে এলেও আমার বাবাসহ ৪ জনকে ছাড়েনি সিবিআই। আমি আইনের ছাত্রী নই। তবে এটুকু বুঝি, কোর্টে কোনও মামলার শুনানি হলে ২ পক্ষকে থাকতেই হবে। অথচ আমাদের কাছে সেসব নিয়ে কোনও তথ্য ছিল না। আমরা অনেক পরে জানতে পারি।' 

Advertisement

আরও  পড়়ুন : করোনায় ৩০০-র বেশি সংবাদকর্মীর মৃত্যু, দ্বিতীয় ঢেউ বেশি কেড়েছে প্রাণ

এই করোনা পরিস্থিতিতে গ্রেফতার করার মতো পদক্ষেপ আইনবিরুদ্ধ বলেও দাবি করেন প্রিয়দর্শিনি। তিনি বলেন, 'গ্রেফতারির কোনও প্রয়োজনই ছিল না। কারণ, মামলাটা ২০১৪ সালের আগের। আর আমার বাবা সবরকম সাহায্য করছেন তদন্তকারীদের। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ খুব প্রয়োজন ছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে গ্রেফতারি এড়াতে হবে। অথচ তাতে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।' 
 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement