Advertisement

নেই আইনজীবী, ধৃত জঙ্গির জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA আদালতের

বৃহস্পতিবার কাশ্মীর থেকে আলতাফ আহমেদ নামে পেশায় এক স্কুল শিক্ষককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তাঁকে কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। জঙ্গির পক্ষ নিয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করতে রাজি না হওয়ায় এদিন কাশ্মীর থেকে ধৃত লস্কর-ই-তৈবার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলতাফকে।
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা ,
  • 16 Apr 2021,
  • अपडेटेड 11:47 PM IST
  • লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যোগ ছিল কাশ্মীরের এক শিক্ষকের
  • তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলা জঙ্গিরও
  • বৃহস্পতিবার কাশ্মীর থেকে আলতাফ আহমেদ নামে পেশায় এক স্কুল শিক্ষককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা

পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যোগ ছিল কাশ্মীরের এক শিক্ষকের। তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলা জঙ্গিরও। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর থেকে আলতাফ আহমেদ নামে পেশায় এক স্কুল শিক্ষককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তাঁকে কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। জঙ্গির পক্ষ নিয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করতে রাজি না হওয়ায় এদিন কাশ্মীর থেকে ধৃত লস্কর-ই-তৈবার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

পরবর্তী শুনানির দিনে ধৃতের পক্ষে একজন আইনজীবীকে দাঁড় করানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিকে। এএনআই সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করে এই সংগঠনে সে একাধিক জনকে নিয়োগ করেছে বলে উঠে আসে এনআইএ তদন্তে। গতবছর উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে ধৃত মহিলা জঙ্গি তানিয়া পারভিনকেও এই আলতাফই নিয়োগ করেছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর।

NIA-এও জানিয়েছে, ধৃত আলতাফ আহমেদ কাশ্মীরের বান্দিপোড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় স্কুল শিক্ষক। গত বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের জালে ধরা পড়ে তানিয়া পারভিন নামে এক মহিলা জঙ্গি। এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় NIA। পরবর্তীকালে তানিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও জমা দেয় NIA। সেই মামলাতেই কাশ্মীরের এক স্কুল শিক্ষকের হদিস পান এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রমাণ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই কাশ্মীরে অভিযান শুরু করে এনআইএর একটি বিশেষ দল। বৃহস্পতিবার তাঁদের জালে ধরা পড়ে আলতাফ আহমেদ। এনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিমকার্ড এবং একটি মেমোরি কার্ড অ্যাডাপ্টর।

শুক্রবার ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ মৌলিক চৌধুরী NIA হেফাজত চেয়ে সওয়াল করেন। তবে, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতেই ধৃতের আইনজীবীর বিষয়ে জানতে চান বিচারক পার্থসারথি সেন। এজলাসে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গির হয়ে সওয়াল করতে ওঠেননি কোনো আইনজীবী। বিচারক যদিও জানিয়ে দেন ধৃতেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে।  ধৃতের পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনে একতরফা এনআইএ হেফাজতের আবেদন তিনি মঞ্জুর করবেন না। 

Advertisement

এরপরই সরকার পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক পার্থসারথি সেন, ধৃতের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারক ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিকে নির্দেশ দেন, সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন তার পক্ষে কোনো আইনজীবীকে দাঁড় করাতে হবে। তার পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানায় বিশেষ এনআইএ আদালত।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement