পঞ্চায়েতের আগে রাজ্যে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকাবেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিরোধী দলনেতার দাবি, গত ১ বছর ধরে একশো দিনের কাজে রাজ্যকে অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। শুভেন্দু বলেন, দুয়ারে সরকার হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে। এই দুয়ারে সরকারে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার আবেদন জমা পড়েছে। কেন্দ্র ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু আমরা আপত্তি করায় পায়নি। শুনছি আবার নাকি প্রস্তাব পাঠাবে। আবার আপত্তি করা হবে। রাজ্য বার্ধক্য ভাতা দিতে পারবে না। কেন্দ্রের টাকায় দেবে। তাই ওই টাকা চাইছে।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সাফাই করারও টাকা তুলছে। লাটাগুড়ির রাজবাড়িতে যারা পিকনিক করতে আসছেন, তাঁদেরও ১০০ টাকা করে দিতে হবে। টাকা তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের ওপর জুলুম হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। টাকা লুঠ করার জন্য স্কিম তৈরি করছে। দ্বাদশ অর্থ কমিশনের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে অভিযোগ জানানো হবে। পঞ্চায়েত সচিব উল্গানাথনকে সতর্ক করব।
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১৭ দফা গাইডলাইন নিয়ে বলেন। তাঁর কথায়, ১৩ লক্ষের কাছাকাছি ঘর মঞ্জুর হয়েছে। জিপি লেভেলে যে ভেরিফিকেশন টিম হয়েছে। আজ তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিছুই হয়নি। ২০১৮ সালের তালিকা তৃণমূলের লোকজন করেছে। তাতে কোনও গরিব মানুষ পায়নি। বিশেষ করে বিজেপি সমর্থকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাঁদের নাম ঢোকাতে পারছি না। ওই দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। ওই লিস্টে যাদের নাম আছে, কিন্তু বিজেপি করার অপরাধে ঘর পাননি। আমরা সাংগঠনিক ভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা তথ্য জমা দিন। আমরা দিল্লিতে অনুরোধ করেছি। আমরা টিম পাঠিয়ে দেখব, যাতে প্রকৃত মানুষ বঞ্চিত না হয়।
আরও পড়ুন-'দুর্নীতি রুখতে জীবন দিতেও রাজি', হুঙ্কার দিয়ে TMC ছাড়লেন বিনয়