দার্জিলিং পুরসভায় আস্থাভোটের পরদিনই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয় তামাং। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে দলত্যাগ করেন তিনি। পাহাড়ে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও দুর্নীতির অভিযোগে সরবও হন। এই নিয়ে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাঁর তরফে। মুখ্যমন্ত্রীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তিনি।
কেন তৃণমূল ছাড়লেন ? প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিনয় জানান, দার্জিলিংয়ে গণতন্ত্র এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। পাহাড়ে দুর্নীতি রুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নিজের জীবনও দিতে তিনি রাজি।
দার্জিলিংয়ের রাজনীতির রং যে বদলাবে তার আন্দাজ আগেই মিলেছিল। বুধবার হামরো পার্টিকে হারিয়ে দার্জিলিং পুরসভায় আস্থাভোট জেতে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অনীতকে সমর্থম করেন পাহাড়ের দুই তৃণমূল কাউন্সিলরও।
আরও পড়ুন : ডিএ এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কবে পাবেন? এল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য
বুধবার দার্জিলিং পুরসভার ৩২ টি আসনের মধ্যে ৩১ টি আসনে অনাস্থা ভোটাভুটিতে ১৬ টি জেতে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। হামরো পার্টি থেকে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগদান করায় তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৷ তৃণমূলের দুটি আসন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পক্ষে থাকায় তাদের মোট আসন সংখ্যা হয় ১৬। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৩টি আসন নিয়ে হামরো পার্টির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫। ফলে বোর্ড গঠন করবে অনীত থাপারা।
বিনয় এদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, 'আমি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। তৃণমূল চাইলে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পদক্ষেপ করতে পারে। এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ে গণতন্ত্র বিপদে। পাহাড় এবং দার্জিলিংয়ের সমতলের বেশ কিছু নেতা সীমান্তপারের বিভেদকামী শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং দেশের অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক।'
আরও পড়ুন : রাজ্যে আবহাওয়ার বিরাট পরির্তন, ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি বৃষ্টি ?
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এই বিমল-বিনয় জুটিই পাহাড়ে বেনজির সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। পরে অবশ্য বিনয় তামাং গুরুংয়ের সঙ্গ ছেড়ে পৃথক দল গড়েন। পরে সেই দল ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।