Ratanpally Tree Cutting: শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে যথেচ্ছভাবে কাটা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমলের গাছ। ঠাকুরবাড়ির উত্তরসূরি সুদৃপ্ত ঠাকুর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেইসঙ্গে গাছ কাটার ছবিও শেয়ার করেন তিনি। জানান, রাস্তা তৈরির জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, গাছ না কেটেও রাস্তা তৈরির উপায় থাকলে কেন ঐতিহ্যপ্রাচীন গাছগুলি কাটা হচ্ছে? প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পুরোপুরি অবগত।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুদৃপ্ত ঠাকুর জানান, "ভিসিকে জানাব। গাছ কেটেই কি উন্নয়ন করা জরুরি? এর জন্য অন্য পন্থাও রয়েছে। মোরামের রাস্তা করলে গাছ কাটার কোনও প্রয়োজন নেই। শোনা গেছে, আরও গাছ কাটার পরিকল্পনা আছে। রবীন্দ্রনাথের নাম ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে, এদিকে গাছও কাটা হচ্ছে, এমন দ্বিচারিতা কেন? এটি অন্যায়। রেজিস্ট্রার, ভিসি সকলের কাছেই গিয়েছে এই অনুমতি পত্র। আমরা এর বিরুদ্ধে লিখিত ফরমায়েশ জানাব।" অনুমতি পত্রের কপিও শেয়ার করেন ঠাকুরবাড়ির উত্তরসূরি সুদৃপ্ত ঠাকুর।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে গ্রামবাসীদের নজরে আসে রতনপল্লিতে বেশ কিছু বড় গাছ কাটা হচ্ছে। এই জায়গা থেকে একটি রাস্তা বের করার কথা। গাছগুলির আকার দেখে ধারণা করা হয় এগুলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমলেরই। এই ঘটনার বিরোধিতা করেনি কর্তৃপক্ষ। শিমূল, হিমঝুড়ি, রুদ্রপলাশ, বট গাছ সহ মোট ১৫টি গাছ কাটার অনুমতিপত্র পাঠায় বিশ্বভারতীর উদ্যান বিভাগ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাধিক কবিতা, লেখায় এই গাছগুলির উল্লেখ রয়েছে। তারই একাংশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে। লক্ষ্য উন্নয়ন।
গতবছর হেরিটেজ তকমা পায় বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর যে ঐতিহ্য, তা ধ্বংস করা হচ্ছে বলে দাবি তুলেছেন স্থানীয়েরা। গ্রামবাসীরা এর বিরোধিতা করলে আপাতত রাস্তা তৈরির জন্য গাছ কাটার কাজ বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার যোগাযেগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।