Suvendu Adhikari: ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় সরকার পড়ে যাবে। সোমবার এক জনসভা থেকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এখন মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে। এর পরে ঝাড়খণ্ডে। তারপরে হবে রাজস্থানে। ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৪ সালেই এই সরকারকে আমরা বিসর্জন দেব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পরেই স্বাভাবিক ভাবে জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি ঘিরে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে প্রবল সঙ্কটের মুখে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির জোট সরকার। শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্ব দলের একশ্রেণির বিধায়ক কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতি এমন দিকে গিয়েছে যে আদৌ সেখানে উদ্ধবের সরকার থাকবে কিনা সেটারই নিশ্চয়তা নেই। এবার সেই প্রসঙ্গ বাংলাতে টেনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ডও তালিকায় রয়েছে বলে জানালেন তিনি। এই দুই রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেস সরকার। রাজস্থানে আবার কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সেখানে কংগ্রেস নেতা সচীন পাইলটের সম্পর্কে মোটেও ভালো নয়।
বাংলাতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে বড় ভাঙণ ধরিয়ে একের পর এক নেতা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ বিধাসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। মাত্র ৭৭ এ আটকে গিয়েছে তারা। উপনির্বাচনগুলি এবং পুরনির্বাচনেও ধাক্কা খেয়ে চলেছে বিজেপি। উল্টে একের পর এক নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। কে নেই সেই তালিকায়, অর্জুন সিং, বাবুল সুপ্রিয়, সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়কও এখন ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবির জানিয়েছে, বাংলাতে বিজেপি উচিত শিক্ষা পেয়েছে। ২০২৪ সালে বাকি শিক্ষাও পেয়ে যাবে।