Advertisement

কৌটো-লালশালুর দিন শেষ, QR কোড স্ক্যানে অনুদান নিচ্ছে 'টেকস্যাভি' CPIM

এবার ডিজিটাল (Online) পেমেন্টের পথে হাঁটল বামেরাও৷ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মহম্মদ সেলিম সিপিআইএম-এর কিউআর (QR coad) কোড স্ক্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ৷ এবং প্রথম অনুদান (UPI) আসে বেঙ্গালুরু থেকে।

cpim qr coad
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Nov 2022,
  • अपडेटेड 5:05 PM IST
  • বরাবর মানুষের কাছ থেকে লাল শালুতে বা কৌটো ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করেছে সিপিআিএম।
  • বিরোধীদের খোঁচাও কম খেতে হয়নি তাঁদের।
  • সিপিআইএম নেতৃত্ব বরাবরই সাফাই দিয়েছেন, অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শুধু তহবিল শক্তিশালী করা নয়, আমজনতার সংযোগ বাড়ে। 

 

এবার ডিজিটাল (Online) পেমেন্টের পথে হাঁটল বামেরাও৷ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মহম্মদ সেলিম সিপিআইএম-এর কিউআর (QR coad) কোড স্ক্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ৷ এবং প্রথম অনুদান (UPI) আসে বেঙ্গালুরু থেকে। 


বরাবর মানুষের কাছ থেকে লাল শালুতে বা কৌটো ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করেছে সিপিএম। তা নিয়ে বিরোধীদের খোঁচাও কম খেতে হয়নি তাঁদের। সিপিআইএম নেতৃত্ব বরাবরই সাফাই দিয়েছেন, অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শুধু তহবিল শক্তিশালী করা নয়, আমজনতার সংযোগ বাড়ে। 


সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহের জন্য কলকাতার পথে দেখা গিয়েছে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীদের। কিন্তু এখন মানুষের কাছে গিয়ে টাকা তোলা আর অতটা সহজ নয়। তাছাড়া সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বাম অনুরাগীরা চাইলেও এতদিন অনুদান পাঠাতে পারতেন না। পাশাপাশি বামেরা তাঁদের বিভিন্ন দিককেই প্রযুক্তিগতভাবে আপডেট করতে চাইছে। তা আন্দোলনের ধরন হোক বা সামাজিক মাধ্যম। যেকারণেই অনুদান সংগ্রহের পুরোনো পদ্ধতিও বদলে ফেলা হল। 


সিপিআইএম ইতিমধ্যেই ‘মানুষের লড়াইয়ে’, ‘মানুষের রসদ’ #DonateToCPIMWB নামে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
সিপিএমের দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ড এর কিংবা দুর্নীতি বা ঘুষের টাকায় তাঁদের পার্টি চলবে না। চলবে মানুষের সাহায্যে। আর সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম এই মুহূর্তে সময়োপযোগী। 


বিষয়টিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, “পার্টির কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। আমরা পার্টির সূচনা লগ্ন থেকে চাঁদার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ হয়। আমাদের যা সাধ আছে, তার সাধ্য নেই। তাই আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যে অর্থ পেতেন সেখান থেকে একটা অর্থ জমা হত। আমাদের সংগ্রহ সংকুচিত হয়েছে। তারপরেও আমরা লাল শালু নিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছি। একটা বড় অংশের মানুষ রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, তাঁরা চান বামপন্থার ভাল হোক। এখনও এমন জায়গা রয়েছে যেখানে সন্ত্রাসের জন্য মানুষ আসতে পারেন না। সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সংগ্রামী তহবিলে মুক্ত হস্তে দান করুন। এখানে কারও পরিচয় প্রকাশ্যে আসবে না।

Advertisement


উল্লেখ্য, রাজ্য সম্পাদক হওয়ার আগে দলের ডিজিটালের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সেলিমই। তিনি দায়িত্ব আসার পর মার্ক্সবাদী পথ পত্রিকা মুদ্রিত আকারের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও নিয়ে আসা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে ফের হার্ট অ্যাটাক ঐন্দ্রিলার, অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement