বিশ্বভারতী কাণ্ডে নয়া মোড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল করল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ ৩ পড়ুয়া আগামিকাল অর্থৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ক্লাসে যোগ দিতে পারবেন।
বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বিশ্বভারতীর উপাচার্য রাজশেখর মান্থার সমালোচনা করেন। বলেন, পড়ুয়াদের লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা কাম্য নয়। উপাচার্য যদি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভেবে থাকেন তাহলে আদালত তাঁকে শিক্ষা দেবে। পাশাপাশি, আন্দোলনকারীদেরও সতর্ক করেছেন বিচারপতি। তাঁর সাফ নির্দেশ, বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন পাঠু শুরু হবে। যে আন্দোলন হয়েছে তা পড়ুয়াদের। আর কোনও অন্য সংগঠনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখা না যায়।
আরও পড়ুন : আজ ED-তে হাজিরা এড়ালেন অভিষেক
বিচারপতির নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে কোনও রকম আন্দোলন করা যাবে না। উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তি করছেন। আদালত এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, এই ধরনের মন্তব্য থেকে উপাচার্যকে বিরত থাকতে হবে। বিচারপতি রাজশেখর মান্তা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে দিন। তাঁদের মতমত প্রকাশের জায়গায় পৌঁছাতে দিন। তারপর তাঁদের রাজনীতির মধ্যে ঢোকাবেন।'
আরও পড়ুন : কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন, ধৃত ব্যাঙ্ককর্মী স্বামী
গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ, সঙ্গীতভবনের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করা হয়। যার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। পড়ুয়ারা ও একাধিক ছাত্র সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। তাদের তরফে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিও করা হয়।