Advertisement

উত্তরাখণ্ডে রবি-বাংলোয় তৈরি হচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস

কবির স্মৃতিবিজড়িত রামগড়ের বাংলোকে কেন্দ্র করেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি ও প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় - ফাইল ছবি।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • বোলপুর,
  • 07 Jan 2022,
  • अपडेटेड 8:30 PM IST
  • রামগড়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই জায়গা।
  • পুত্র রথীন্দ্রনাথের ইচ্ছায় সেখানে বাংলো কিনেছিলেন বিশ্বকবি।

উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার চিঠি দিয়ে বিনা শুল্কে বিশ্বভারতীকে ৪৫ একর জমি দেওয়ার কথা জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ কোটি টাকা চেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।   

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, উওরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম রামগড়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই জায়গা। পুত্র রথীন্দ্রনাথের ইচ্ছায় সেখানে বাংলো কিনেছিলেন বিশ্বকবি। একাধিকবার রামগড় গিয়েছেন তিনি। ১৯১২ সালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে রামগড়ে পাঠিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাগান-সহ বাড়িটি কিনেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন 'হৈমন্তী'। ১৯১৪ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে রামগড়ের বাংলোয় কয়েকটা দিনও কাটিয়েছিলেন। এই বাংলোয় থাকাকালীন একাধিক কবিতা, গান লিখেছিলেন কবি। তার মধ্যে অন্যতম- 'চরণ ধরিতে দিয়ে গো আমারে'। রবির লেখা 'শেষের কবিতা'য় রামগড়ের কথা রয়েছে।    

কবির স্মৃতিবিজড়িত রামগড়ের বাংলোকে কেন্দ্র করেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি ও প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।  কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাইয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রের খবর।  

আরও পড়ুন- Covid আক্রান্ত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে কাঠগড়ায় রবীন্দ্রভারতী

২০১৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল একটি ক্যাম্পাস তৈরির জন্য বিশ্বভারতীকে অনুরোধ করেন। তার পর বিষয়টি গতি পায়। ২০২১ সালের ১০ জুন শান্তিনিকেতনে কর্মসমিতির বৈঠকে রামগড় ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরস্তরে গ্রামীণ উন্নয়ন, গ্রামীণ পুনর্গঠন এবং সমাজবিদ্যার পাঠ্যক্রম চালু হবে রামগড়ের ক্য়াম্পাসে। 

আরও পড়ুন- সবই তো চলছে, পুরভোট নয় কেন? হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের

জানা গিয়েছে, করোনার প্রভাব কমে গেলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৬৫০ ছাত্রছাত্রীকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি নেওয়া হবে। বিশ্বভারতী থেকে অধ্যাপকরা যাবেন রামগড়ে। আগামী জুলাই থেকে সেখানে পঠনপাঠন শুরু হতে পারে। এনিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।  

Advertisement

আরও পড়ুন- ঠান্ডার আয়ু ফুরোচ্ছে? শীতকালেও বৃষ্টি নামবে বাংলায়

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement