তালিবানদের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। কাবুল বিমানবন্দরে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। ভীত, সন্ত্রস্ত আফগানিস্তান থেকে শুধু মানুষই নয় প্রায় ২০০ কুকুর, বিড়ালকেও বিমানেও উড়িয়ে আনা হবে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের একটি পশু আশ্রয়স্থলের মালিক ফার্থিংকে ২০০টি কুকুর ও বিড়ালকে চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়িয়ে আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে কাজ করার সময় ফার্থিং একটি পশু আশ্রয়স্থল তৈরি করেছিল। কুকুর, বিড়াল ও গাধাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি নউজার্ড নামে পশু আশ্রয়স্থল তৈরি করেছিল।
জনগণের থেকে অর্থ তুলে এই ২০০টি জীবজন্তুকে সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ফার্থিং এবং তাঁর দল। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে আরকানসাস।
যদিও পশুদের সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সেখানে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে হাজার হাজার মানুষ তালিবানদের ভয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে চাইলেও তাঁরা নিরুপায়। পালাতে পারছেন না।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস আগেই জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতিতে "মানুষের থেকে পোষা প্রাণীকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভুল হবে কারণ হাজার হাজার মানসূহ বিমানবন্দরের বাইরে বিমানের জন্য অপেক্ষা করছে।"
এরপর বুধবার ভোরে ওয়ালেস ট্যুইট করেন, তিনি কাবুল বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষকে ফার্থিংয়ের সমস্যাগুলি দেখার জন্য অনুমোদিত করেছিলেন।
ওয়ালেস এও বলেন, ফার্থিং এবং তার আফগান কর্মীরা যাদের ভিসা দেওয়া হয়েছে, তারা রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ফ্লাইটে পশু ছাড়াও আফগানিস্তান ত্যাগ করতে পারেন।
ফার্থিং জানান, ২৫০ আসনের বিমানে পশুদের ছাড়াও বাকি আসনগুলিতে নাগরিকদেরও নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ব্রিটেন ১৩ অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সে দেশ থেকে সরিয়ে এনেছে।