আমেরিকায় এক দম্পতির টেসলা এস গাড়ি চার্জে বসাতেই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁরা গাড়িটিকে চার্জে বসিয়ে যান। দম্পতির দাবি, রাতে কোনওভাবে চার্জিং পয়েন্ট থেকে আগুন লেগে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও একটি টেসলা গাড়িতেও আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরপর ঘরেও আগুন লেগে যায়।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, যোগী ও কেরোলিন উইন্ডম আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান রামনের বাসিন্দা। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির এমনই হাল যে ৮ মাস পেরিয়ে গিয়েও এখনও পর্যন্ত তাঁরা ফিরতে পারেননি। তাঁদের আরও দাবি, দুর্ঘটনায় তাঁদের ক্ষতির পরিমাণ ১ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
দম্পতি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোর ৫.৩৭ নাগাদ উঠি। অ্যালাৰ্ম-এর আওয়াজে আমরা সকালে উঠি। উঠে দেখি ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। যদি সে রাতে আমরা ওপরের ঘরে না শুতাম তাহলে সেদিন হয়তো মরেই যেতাম। আমরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম।
তাঁরা আরও জানান, সেই রাতে ২০১৩-র মডেল টেসলা এস ৮৫ গাড়িটিকে চার্জ দিতে বসিয়েছিলেন। সারা রাট চার্জ হওয়ার জন্য বসিয়েছিলেন। পাশে ছিল তাঁদের আরও একটি টেসলা গাড়ি। "ভোরের দিকেই সম্ভবত আগুন লাগে। একটা বিকট শব্দে আমাদের বাড়িটা সেদিন কেঁপে উঠেছিল। বেরিয়ে দেখি গ্যারেজের দরজাটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে," বলে জানান উইন্ডম দম্পতি।
শুধু তাই নয়। নীচের ঘরের আরও দুটি ঘর, বাথরুম সমস্ত কিছুই জ্বলে যায়। নেহাতই তাঁরা সেদিন ওপরের ঘরের পিছনের দিকে ছিলেন তাই বরাত জোরে বেঁচে গেছেন। তবে তাঁদের কোনওভাবে আঘাত লাগেনি। তাঁরা সেদিনের দুর্ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছিলেন।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে পড়েছিল যে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন এসেও আগুন নেভাতে পারেনি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হলে জানা যায়, গাড়িতে থার্মাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বা ইলেকট্রিক সিস্টেমে সমস্যা থাকার জন্যই হয়তো আগুন লেগেছে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও ফিলাডেলফিয়ায় টেসলার একটি গাড়ি চলতে চলতেই আগুন লেগে ধরে যায়। ন্যাশনাল হাইওয়ে সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২০১৯ সালে টেসলার দুটি গাড়ির মডেলের ব্যাটারি খতিয়ে দেখে যে তাতে কোনও সমস্যা নেই তো।