Advertisement

বিশ্ব

বিয়েতে মোটা পণ পেতে মুখের মধ্যে চাকতি, কেমন হয় আফ্রিকার এই আদিবাসীদের জীবন

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • 07 Mar 2021,
  • Updated 12:55 AM IST
  • 1/6

বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস আফ্রিকা মহাদেশে। কেমন হয় আফ্রিকার আদিবাসীদের গ্রাম তা নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই উৎসাহ রয়েছে। আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় অনেক জনজাতি রয়েছে। তাঁরা একে অপরের থেকে আলাদা নিজেরে পোশাক, জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির কারণে। সেই কারণে বিশ্বের তাবড় তাবড় অনেক ফটোগ্রাফার ও ডমুমেন্টারি ফিল্মমেকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। তাদের মধ্যে নাম করতেই হবে সুরি নামের এক জনগোষ্ঠীর। 
 

  • 2/6


ইথিওপিয়ার কিবিশ ওমো উপত্যকা এবং গ্রেট রিফ্ট উপত্যকায় বসবাসকারী এই  উপজাতির মানুষ  নিজস্ব বেশ কিছু অদ্ভূত আচার-অনুষ্ঠানের জন্য দুনিয়ার নজর কেড়েছে। এই জনজাতির মেয়েরা সুন্দর হওয়ার জন্য লিপ প্লেট বসান। 
 

  • 3/6

দাঁত ভেঙে তার মধ্যে ডিস্ক  ঢুকিয়ে নিচের অংশের ঠোঁট তার মধ্যে জডি়য়ে সুন্দর হওয়া। প্রচন্ড ব্যথা লাগলেও মোটা অঙ্কের পণ পাওয়ার জন্য এটা করতেই হয়। আফ্রিকার দারিদ্রক্লিস্ট দেশ ইথিওপিয়ার সুরি নামক এক জনজাতি গোষ্ঠীর এটাই হল সংস্কার। বয়ঃসন্ধিকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুব জোরে মেয়েদের বেশীরভাগ দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়। রক্ত ভেসে যাওয়া অবস্থাতেই এরপর গোল চাক্তির  মত দেখতে একটা জিনিস সেখান থেকে বের করা হয় । অমানবিক, ভয়ঙ্কর এই পদ্ধতিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয় খুব স্বাভাবিক ভাবেই।  গোটা মুখ আড়ষ্ট হয়ে যায়। কথা বলতে বা খেতে চরম অসুবিঘা হয়, বলাই বাহুল্য।

  • 4/6

একে বলা হয় লিপ প্লেট। যে মেয়ের লিপ প্লেট যত বড় হবে, বিয়েতে তার বাবা-মা তত পণ পাবে। পণ হিসাবে মেলে গরু। সেই লোভে মেয়ের অসহ্য যন্ত্রণাতেও বাবা-মা বেশ খুশিই হয়। আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ইথিওপিয়ায় সুরি নামের এই জনজাতির মধ্যে এই প্রথা প্রচলিত রয়েছে বহু দিন ধরে। যার লিপ প্লেট যত বড় হবে, সে তত সুন্দর বলে গণ্য হবে সুরি সমাজে!
 

  • 5/6

আমাদের জন্য এই দৃশ্য ভয়ঙ্কর, বীভৎস মনে হলেও  শত শত বছর ধরে চলে আসছে সুরি উপজাতির মেয়েদের মধ্যে। কাজটা যতই ভয়ঙ্কর ও বেদনাদায়ক হোক না কেন, তা করা হয় রীতিমত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই উপজাতির ছেলেদের জনও রয়েছে ভিন্ন প্রথা। শরীরের ছুঁচের মাধ্যমে রঙ মাখলেই বিবাহ যোগ্য হয়ে যায় ছেলেরা। 
 

  • 6/6

ইথিওপিয়ার সুরি উপজাতির এমন খবর ও ছবি প্রকাশ পাওয়ার পরই গোটা সাইবার দুনিয়া উত্তাল হয়েছে। ফেসবুক থেকে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সবেতেই এই ছবি দেদার শেয়ার হচ্ছে। নেটিজেনরা তীব্র প্রতিবাদ করছে এই প্রথার। এমনও শোনা যাচ্ছে সুরি উপজাতির নব প্রজন্ম নাকি এই রীতির বিরোধিতা করছে। শোনা যায়, একটা সময় ক্রীতাদাস হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হত সুরি কিশোর-কিশোরীদের। বিক্রি হওয়া থেকে বাঁচতেই শুরু হয় এই প্রথা। যাতে এই দৃশ্য দেখার পর আর কেউ কিনতে না চায়। কালক্রমে সুরিদের মধ্যে তাই পরিণত হয়েছে সৌন্দর্য ও সংস্কারে। 
 

Advertisement
Advertisement