দীর্ঘদিন চুপচাপ। সম্প্রতি কিম জং উনের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে হৈচৈ! যে ছবি সামনে এসেছে কিমের একবার দেখলে যেন চিনতেই পারবেন না। একেবারে স্লিম হয়ে গিয়েছেন তিনি।
গার্ডিয়ানের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ২০১১ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এরপর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় বসেন কিম জং উন। সেই সময় যথেষ্ট মোটা ছিলেন তিনি। তাঁর স্থুলতা নিয়ে অতীতে অনেকবার আলোচনাও হয়েছে।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে কিমের যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে একেবারে অন্যরকম কিমকে দেখা গিয়েছে। প্রায় একমাস কিমের খবর সামনে আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি একাধিক ছবি সামনে এসেছে কিমের।
সামনে আসা ছবিতে ৩৭ বছর বয়সী কিম জং উনকে অনেকটাই রোগা লাগছে। কীভাবে এত রোগা হলেন কিম? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। অনেকে বলছেন, কিমকে অসুস্থ? নাকি ব্যায়াম করে সচেতনভাবেই রোগা হয়েছেন কিম! তবে উত্তর কোরিয়া একটা সূত্র বলছে, বাড়িতে বসে ব্যায়াম করে রোগা হয়েছেন কিম।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, কিম জং উনের ওজন ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ওজন প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ পাউন্ড বেড়েছে। কিমের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে একাধিকবার জল্পনা হয়েছে।
রহস্যজনকভাবে গত কয়েকবছর আগে উধাও হয়ে যান কিম! অনেকেই মনে করেছিলেন যে কিম বোধহয় মৃত! পরে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে, পায়ের কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে কারণে দীর্ঘদিন তাঁকে দেখা যায়নি। গত বছরের মার্চে গুজব রটে যে, হার্ট সার্জারি করে কিম জং উন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিছু রিপোর্টে তার মৃত্যুরও খবর প্রকাশ করা হয়। তবে কিম ফের সামনে আসে।
তাঁর রহস্যজনকভাবে উধাও হওয়ার পিছনে বারবার কোনও না কোনও কারণ সামনে এসেছে। । ফের একবার উধাও হয়েছিলেন কিম, ফিরলেন রোগা হয়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারণটা অজানা। কিমের এই পরিবর্তন দেখে উত্তর কোরিয়ার মানুষের চিন্তা বাড়ছে।
নতুন অবতারে কিম জং-কে খুব রোগা এবং দুর্বল দেখাচ্ছে, এমনটাই বলছেন উত্তর কোরিয়ার এক যুবক। তিনি আরও বলেন, 'তাঁর এই অবস্থা দেখে আমরা সকলেই মন খারাপ করেছিলাম। আমাদের চোখ আর্দ্র হয়ে গেল।' এখন এই পর্বের একটি ভিডিওও বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে কিম জং কিছু প্রোগ্রামে অংশ নিতে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁর কম ওজন দেখে অনেকে অবাক হয়েছিলেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কেবল জল্পনাই বাড়ছে।
এখনই সবার দৃষ্টি কেবল কিম জং উনের স্বাস্থ্যের উপরে স্থির, কারণ উত্তর কোরিয়ার যে ধরণের রাজনীতি, সেখানে কেবল কিমের একনায়কতন্ত্র রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর উত্তরসূরি কে তাও পরিষ্কার নয়। এই কারণেই এই মুহুর্তে কিম জং উনের ওজন হ্রাস পাওয়ায় সবাই এতটা বিচলিত হয়ে পড়েছেন।
এমনিতে কিম বরাবরই ভোজন রসিক বলে জানা যায়। তেলচর্চিত, মশলাদার ডিশের প্রতি তাঁর ঘোরতর আসঙ্কি। পাশাপাশি সমান তালে চলে ধূমপান ও মদ্যপান।