সম্প্রতি, আফ্রিকার কঙ্গোয় এক রোগীর হিমোরেজিক জ্বরের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এর পরে, রোগীকে আইসোলেট করে রাখা হয়। তার নমুনাগুলি ইবোলা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই সময়ে অনেক চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল একটি প্রশ্ন নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছিলেন যে মহিলার ইবোলা নেই তবে মহিলা কোনও নতুন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ডিজিজ এক্স'। যদিও ভাইরাস এবং রোগটি এখনও অজানা। তবে এই রোগটি করোনার মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ইবোলার মতো মারণ।
এক্স-অর্থাৎ অজানা। এ এমন এক রোগ যা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্বের সুপরিচিত চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে রোগের ভয়টি ন্যায়সঙ্গত। ইবোলা কিংবা করোনার মত এটিও এক ধরনের ভয় তৈরি করছে।
১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস আবিষ্কারে সহায়তা করেছিলেন অধ্যাপক জাঁ জেসকিউস মুয়েম্বে তামফুম। তিনি জানান যে আফ্রিকার রেইন ফরেস্ট থেকে নতুন এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা বর্তমানে 'ডিজিজ এক্স' হিসেবে ধরা হয়েছে।
অধ্যাপক টামফাম বলেন, আমরা এখন এমন এক বিশ্বে বাস করছি যেখানে নতুন ভাইরাস আসবে এবং এর কারণে মানব সভ্যতাও হুমকির মুখোমুখি হবে। তবে এই ভাইরাস ইবোলার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
কঙ্গোর সেই মহিলা, যিনি একটি রহস্যজনক রোগে ভুগছেন তিনি ইবোলা আক্রান্ত নন। সম্প্রতি ইবোলা পরীক্ষার জন্য যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল তা নেগেটিভ এসেছে। সেই কারণেই আরও রহস্য বাড়ছে। নতুন বিপজ্জনক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানুষবাহিত এই রোগই নয়া চিন্তা তৈরি করছে।