Advertisement

বিশ্ব

Solar storm: একের পর এক বিস্ফোরণ সূর্যে, কতটা নিরাপদ পৃথিবী? দেখুন PHOTOS

Aajtak Bangla
  • 02 Dec 2022,
  • Updated 10:37 PM IST
  • 1/7

গত কয়েকদিন ধরেই সূর্যে বিশাল গর্ত তৈরি হচ্ছে। গর্তগুলি এক একটি বড় উপত্যকার মতো গভীর এবং বড়। এত বড় যে, তাতে অনেকগুলো পৃথিবী অনায়াসে ঢুকে যাবে। গর্তের ভেতর থেকে খুব দ্রুত গতিতে গরম সৌর তরঙ্গ বেরিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ওই গর্ত দেখেছেন। যার প্রভাব আগামী ২ দিনের মধ্যে পৃথিবীতে পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

  • 2/7

গর্ত গুলি থেকে নির্গত সৌর তরঙ্গ পৃথিবীর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এসব গর্তকে করোনাল হোল বলছেন। যা সূর্যের মাঝখানে তৈরি হয়েছে। এর ফলে সূর্যের ওপরের বায়ুমণ্ডলের প্লাজমা কমে যাচ্ছে। সূর্যের চৌম্বক রেখাগুলি এই গর্তগুলির কাছে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে তারা দ্রুত গর্তের ভিতরে থাকা সৌর পদার্থগুলোকে বের করে নেয়। এসব গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা সৌর ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২ কোটি ৯০ লাখ কিলোমিটার। 
 

  • 3/7

এই তরঙ্গে তীব্র ইলেকট্রন, প্রোটন এবং আলফা কণা বের হয়। এবং পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি দ্বারা শোষিত হয়। শোষণের প্রক্রিয়ায়, সূর্যের তরঙ্গ এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে একটি যুদ্ধ শুরু হয়। যাকে বলা হয় জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম। সৌর তরঙ্গ বায়ুমণ্ডলকে ছিঁড়ে ভিতরে আসে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে রঙিন আলো ভাসতে শুরু করে। যাকে বলা হয় নর্দান লাইটস। বর্তমানে এসব গর্তের কারণে যে সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তা জি-১ জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম। অর্থাৎ তার থেকে খুব একটা বিপদ নেই। 

  • 4/7

আমেরিকার মিশিগান এবং ইউরোপের মায়ানের উপরেও নর্দান লাইট তৈরি হতে পারে। এই গর্তগুলির মধ্যে প্রথমটি তৈরি হয়েছিল যখন ভারতে ছট উৎসব পালিত হচ্ছিল। তখন থেকেই এসব গর্ত তৈরি হতে শুরু করেছে। এরপর থেকে পরপর চার থেকে পাঁচবার এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 
 

  • 5/7

 এই গর্তের প্রভাব আগামী দুদিনের মধ্যে পৃথিবীতে পড়বে। সাধারণত সূর্য থেকে আগত ঝড় পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা সময় নেয়। কিন্তু এটি ঘটে যখন এটি খুব তীব্র হয়। সূর্যের এই অস্থিরতাকে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ শক্তিশালী সৌরঝড় বলছেন। তাঁদের মতে, সূর্যের মধ্যে এক কোণে বড়সড় একটি ‘স্পট’ বা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই এই ঝড়ের উৎপত্তি।
 

  • 6/7

এখন সূর্য ১১ বছরের চক্রের জন্য চলছে। যা ডিসেম্বর ২০১৯ এ শুরু হয়েছিল। তার আগে সূর্য শান্ত ছিল। কিন্তু এখন সে জেগে আছে। সূর্যের ঘুম-জাগরণ চক্র প্রথম ১৭৭৫ সালে জানা যায়। এরপর থেকে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম সৌর ঝড় ১৮৯৫ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল। একে বলা হয় ক্যারিংটন ইভেন্ট। যা এক মেগাটন শক্তির ১০০০ কোটি পরমাণু বোমা সমান।
 

  • 7/7

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, গত কয়েক দিনে সূর্যের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে ছোট-বড় বিস্ফোরণ। সূর্যের এই অস্থিরতায় বিপদে পড়তে পারে সৌরজগতের আরও অনেক গ্রহ। যে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ সূর্যের এই বিস্ফোরণের ধাক্কায় কয়েক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
 

Advertisement
Advertisement