বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ইজরায়েলে ইরানের হামলা। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৮০টি শক্তিশালী মিসাইল অ্যাটাক করে ইরান।
যার ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ইজলায়েলের বড় অঞ্চল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এরকমই একটি হামলা ইজরায়েলে চালিয়েছিল ইরান। কয়েকশো মিসাইল আছড়ে পড়েছিল ইজরায়েল ভূখণ্ডে।
আরও হামলা চলতে পারে? ইজরায়েল সেনার বক্তব্য, সম্ভবত আরও এখনই হামলা চালাবে না ইরান। আপাতত বন্ধ থাকবে।
তবে ইরানের এই ভয়াবহ হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইজরায়েলের, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু বলছেন, বড় ভুল করল ইরান। এর মূল্য ওদের চোকাতে হবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে প্রায় ১৮০টি ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান।
এপ্রিলে যে হামলা চলেছিল, তার চেয়েও ভয়াবহ। এপ্রিল মাসে ১১০টি মিসাইল অ্যাটাক করেছিল ইরান। এবার ১৮০টি।
ইজরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে রাত পৌনে ৮টা নাগাদ মিসাইলের পর মিসাইল হামলা শুরু হয়।
বেশ কিছু মিসাইল ইজরায়েল সেনা আকাশেই নিষ্ক্রিয় করে দেয়। জেরুজালেমে বেশ কিছু সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এফপি-র সূত্র বলছে, বেশ কিছু মৃত্যু হয়েছে। তবে তার সংখ্যাটা ঠিক কত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এখন প্রশ্ন হল, কেন এত বড় হামলা ইজরায়েলে চালাল ইরান? ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) বলছে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারল্লাহ হত্যার বদলা নিতেই ইজরায়েলে হামলা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেইরুটে হাসান নারারল্লাহ ও আইআরজিসি কম্যান্ডর আব্বাস নিলফোরোশানের মৃত্যু হয় ইজরায়েলের হামলায়।
তখনই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, বদলা নেবে। অন্যদিকে গত জুলাইয়ে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়েকে তেহরানে হত্যা করা হয়। যদিও ইসমাইলের মৃত্যুর তাদের হামলায় হয়নি বলেই দাবি ইজরায়েলের।
ইরান সরকারের উচ্চ পদস্থ অফিসার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছন, মঙ্গলবার ইজরায়েলে যে হামলা চালানো হয়েছে, তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আল খোমেইনির নির্দেশেই হয়েছে।