গনি সরকারের উপ রাষ্ট্রপতি অমরুল্লা সালেহ স্পষ্ট করে দিলেন, তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণের কোনও প্রশ্নই নেই। পঞ্জশির নিয়ে তিনি ইন্ডিয়া টু'ডে-কে জানান, 'আফগানিস্তানকে তালিবানস্তান বানাতে দেব না। আর তালিবানরা পঞ্জশির দখল করে নেওয়ার যে দাবি করছে তার কোনও ভিত্তি নেই। তাঁর কথায়, 'পঞ্জশিরের মানুষ যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। তাঁরা তালিবানকে রুখে দেবে।'
অমরুল্লা সালেহ জানান, পঞ্জশির তালিবানদের কাছে মাথা নোয়াবে না। তিনি বলেন, 'আমরা শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু, তালিবানরা যদি আক্রমণ করে তাহলে আমরাও তার উত্তর দেব। চুপ করে বসে থাকব না। যোগ্য জবাব দেব।'
আরও পড়ুন : পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পরেই খুলবে স্কুল, জানালেন মমতা
অমরুল্লা সালেহ বলেন, 'আমরা গণতন্ত্র চাই। কারও একনায়কতন্ত্র মেনে নেব না। আমরা চাই, দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে থাকুক। তাদের উপর কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমরা নই। তাই তালিবানদের এই শাসন আমরা মানি না।'
কে এই অমরুল্লা সালে?
নর্দান অ্যালায়েন্স বা উত্তর জোটের উত্তর জোটের তিনজন বড় নেতা আছেন। তাঁদের মধ্যে সবথেকে প্রভাবশালী নেতা অমরুল্লা সালেহ যিনি আশরাফ গনি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন আহমেদ মাসুদ এবং আবদুল রশিদ দোস্তুম। এই তিন নেতা উত্তর আফগানিস্তানের পাঞ্জশির থেকে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন : Afghanistan Taliban : মাঝ আকাশে প্রসব যন্ত্রণা আফগান মহিলার, তারপর যা হল...
প্রসঙ্গত, তালিবানের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই পঞ্জশিরের (Panjshir valley) কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তাখর (Takhar), বাদাখশান (Badakhshan) এবং আন্দারাবের (Andarab) দিক দিয়ে পঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলেও জানাচ্ছে তালিবান। তাদের এখন লক্ষ্য পঞ্জশির। যদিও নর্দান অ্যালায়েন্স সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা তালিবানিদের পঞ্জশিরে প্রবেশ করতেই দেবে না।