দ্বিতীয়বারে জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জিতলেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। মেরিন লে পেনকে (Marine Le Pen) পরাজিত করে ভোটে জিতেছেন তিনি। ৫৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। এদিকে ম্যাক্রোঁর এই জয়ের পরেই আইফেল টাওয়ারের সামনে বিজয় উল্লাসে মেতেছেন তাঁর সমর্থকেরা। ভোটের চূড়ান্তে ফলাফল প্রকাশ হয়েই আনন্দে গা ভাসান তাঁরা। শুরু হয় শুভেচ্ছা বিনিময়।
নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা
দ্বিতীয়বার জয়ের পর ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইটে মোদী লেখেন, "আমি ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।"
শুভেচ্ছা জানালেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী
ইংরেজি ও ফরাসিতে ট্যুইট করে ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন। তিনি লেখেন, "ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনি দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে শুভেচ্ছা। ফ্রান্স আমাদের সবচেয়ে কাছের ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের মধ্যে একটি। আমি সেই সমস্ত বিষয়ে একসঙ্গে কাজ জারি রাখতে তৎপর, যেগুলি আমাদের দুটি দেশ ও বিশ্বের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
জেলেনেস্কির অভিনন্দন
ম্যাক্রোঁর জয়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জেলেনস্কি ম্যাক্রোঁকে ইউক্রেনের সত্যিকারের বন্ধু বলেছেন এবং তাঁর সমর্থনের প্রশংসা করেছেন। ফরাসি ভাষায় টুইট করে জেলেনস্কি বলেন, "আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা একসঙ্গে একটি যৌথ বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাব। একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের দিকে।"
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ম্যাক্রোঁ বলেছেন, "কাউকে রাস্তায় রাখা হবে না। আমাদের অনেক কিছু করার আছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা দুঃখজনক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ফ্রান্সকে অবশ্যই আওয়াজ তুলতে হবে।" প্রসঙ্গত, ম্যাক্রোঁই হলেন প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট যিনি ২০ বছরের মধ্যে পুনরায় নির্বাচিত হলেন।
দেরিতে নির্বাচনী কর্মসূচি শুরু করেন ম্যাক্রোঁ
ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন বেশ দেরিতে। নির্বাচনের আগে মাত্র একটি বড় সভা করেন তিনি। ভোটের আগে, অবসরের বয়স বাড়ানোর মতো অজনপ্রিয় পরিকল্পনা নিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করারও চেষ্টা করেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে বলে অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। উল্টোদিকে তাঁর প্রতিপক্ষ লে পেনের নির্বাচনী প্রচার ছিল তুঙ্গে। পুরো ফ্রান্স ভ্রমণ করেন তিনি। তাঁর প্রতিটি সমাবেশে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের হাসি হাসেন ম্যাক্রোঁই।
আরও পড়ুন - 'হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম,' অনুব্রত প্রসঙ্গে এবার দিলীপ