ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানার কয়েকদিন পর ফের একবার গতি পাচ্ছে সৌর ক্রিয়াকলাপ। এই সপ্তাহেই সূর্যে আরও বেশি পরিমান অগ্নিশিখার-সহ বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারই সূর্য থেকে একটি সৌর শিখা বা আগুনের ফুলকি আছড়ে পড়ে। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় একটি শক্তিশালী শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধীনস্থ একটি সংস্থা বলছে, "আগামী সপ্তাহে সৌর কার্যকলাপ সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সানস্পটগুলি ভিজিবল ডিস্ক জুড়ে মাইগ্রেট হয়।"
spaceweather.com-এর মতে গতকাল সানস্পট কমপ্লেক্স AR2993-94 একটি X1 শ্রেণির সোলার ফ্লেয়ার উৎপন্ন করেছিল। তবে সেটিকে কেবল সূচনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর পিছনে আরও বৃহৎ একটি সক্রিয় অঞ্চল থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রবিবার সোলার স্পটগুলি দেখা গিয়েছিল। নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি এর অগ্রগতি ট্র্যাক করছে।
একটি সৌর শিখা হল সূর্যের পৃষ্ঠে একটি আকস্মিক, দ্রুত এবং তীব্র বিস্ফোরণ। এটি যখন ঘটে তখন চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ শক্তি হঠাৎ করে নির্গত হয়। বিস্ফোরণ মহাবিশ্বের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ জুড়ে বিকিরণ নির্গত করে, সৌরজগতের গ্রহগুলিকে আঘাত করে। এই বিকিরণে থাকে রেডিও তরঙ্গ, এক্স-রে এবং গামা রশ্মি।
একটি সৌর শিখার তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথমটি হল প্রিকারসার স্টেজ। যেখানে চৌম্বকীয় শক্তির মুক্তি নরম এক্স-রে নির্গমনের মাধ্যমে শুরু হয়। দ্বিতীয়টি হল ইমপালসিভ, যেখানে প্রোটন এবং ইলেকট্রন এক মিলিয়ন ইলেকট্রন ভোল্টের সমতুল্য শক্তিতে ত্বরান্বিত হয়। আর তৃতীয় পর্যায়টি হল, এক্স-রশ্মিগুলির ধীরে ধীরে তৈরি এবং ক্ষয় হওয়া। প্রসঙ্গত, সূর্য এখন তার 11 তম সৌর চক্রে রয়েছে, যা সারফেসে হাই অ্যাকটিভিটির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন - শান্তিকেতনে আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণ, ধৃত ২ নাবালক সহ ৪