Advertisement

'বসছি, কিন্তু লিখতে পারছি না,' প্রথমবার মুখ খুললেন আহত রুশদি

ভারতীয় বংশদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক সলমান রুশদি গত বছর নিউইয়র্কে হামলার শিকার হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর পক্ষে লেখা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন তিনি। বুকার পুরস্কারজয়ী ঔপন্যাসিক সলমান রুশদি তার ওপর হওয়া ছুরি হামলা নিয়ে এই প্রথমবারই মুখ খুলেছেন।

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Feb 2023,
  • अपडेटेड 12:11 PM IST
  • ভারতীয় বংশদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক সলমান রুশদি গত বছর নিউইয়র্কে হামলার শিকার হয়েছিলেন।
  • তারপর থেকেই তাঁর পক্ষে লেখা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন তিনি।

ভারতীয় বংশদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক সলমান রুশদি গত বছর নিউইয়র্কে হামলার শিকার হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর পক্ষে লেখা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন তিনি। বুকার পুরস্কারজয়ী ঔপন্যাসিক সলমান রুশদি তার ওপর হওয়া ছুরি হামলা নিয়ে এই প্রথমবারই মুখ খুলেছেন। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসা রুশদি এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। কিন্তু বেঁচে ফেরায় তিনি নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ মনে করছেন। পাশাপাশি প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতা।

২০২২ সালের আগস্টে নিউইয়র্কে একটি সাহিত্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রুশদি। এ সময় মঞ্চে তার ওপর হামলা চালান ২৪ বছর বয়সী যুবক হাদি মাতার। নিউ জার্সির এই বাসিন্দা সেদিন রুশদিকে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করেন। এতে নিজের রক্তের ওপর লুটিয়ে পড়েন রুশদি। এর জের ধরে প্রায় ছ সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয় এই লেখককে। পরে এক চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন তিনি।

দ্য নিউইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশদি বলেন, ‘আমি অনেকটাই ভাল হয়েছি। যা ঘটেছিল তা বিবেচনা করে দেখলে খুব একটা খারাপ নেই। বড় ক্ষতগুলো সেরে গেছে। তবে বুড়ো আঙুল, তর্জনী ও তালুর নিচের অর্ধেকটা অনুভব করছি। আমাকে প্রচুর হাতের থেরাপি নিতে হচ্ছে। যদিও আমাকে বলা হয়েছে শারীরিকভাবে আমি উন্নতি করছি।

রুশদি জানান, আঙ্গুলের কিছু অংশে অনুভূতি না থাকায় লিখতে অসুবিধা হচ্ছে তার। তিনি বলেন, ‘আমি উঠে দাঁড়াতে পারছি। হাঁটতে পারছি চারপাশে। তবে আমার শরীরে এমন কিছু অংশ আছে যেগুলো নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। এটা ছিল একটি মারাত্মক আক্রমণ’। তিনি জানান, ছুরি হামলার ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। এর ফলে তাকে নিরাপত্তার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেন রুশদি। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছিলেন এই লেখক। এই উপন্যাস লেখার জন্য রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়। উপন্যাসটিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন মুসলিমরা।

Advertisement

আরও পড়ুন-প্রায় দেড় হাজার শবদেহ, তুরস্ক যেন 'মৃত্যু উপত্যকা', উদ্ধারকারী দল পাঠাবে ভারত

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement