Kabul Gurdwara Blast: কাবুলে এক গুরুদ্বারে বিস্ফোরণ। সেখানে দুজন নিহত হয়েছেন। পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিব কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেখানে শনিবার (১৮ জুন) একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। সূত্রের খবর, আফগান শিখরা ধর্মগ্রন্থ বাঁচাতে গুরুদ্বার প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন।
তাঁরা পবিত্র গ্রন্থটিকে গুরনাম সিংয়ের বাসভবনে নিয়ে যায়। এবং সেখানে এর পবিত্রতা এবং নীতি অনুসারে এর পুজো করে।
একের পর এক বিস্ফোরণ
আফগানিস্তানের কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। আইএসআইএস খোরাসান হামলার পেছনে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। সূত্রের খবর, গুরুদ্বারের পুরো চত্বরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
হামলা শুরু হয় কাবুলের সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (ভারতীয় সময় সকাল ৮.৩০)। সাবিন্দর সিং নামে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং গুরুদ্বারের প্রহরী নিহত হয়েছেন এবং এই ঘটনায় তিন তালেবান সৈন্য আহত হয়েছেন। দুই হামলাকারী তালিবান সেনাদের দ্বারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। অন্তত ৭-৮ জন এখনও ভেতরে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: সোনাঝুরি হাট আপাতত সপ্তাহে দু'দিন, সাজিয়ে তুলবে পুরসভা
আরও পড়ুন: শিল্পী লতার আসল নাম কী, মঙ্গেশকর পদবী কেন লিখতেন?
আরও পড়ুন: কেন লতা মঙ্গেশকরের প্রথম গান কখনও রিলিজ করেনি?
শিখ সম্প্রদায়ের একজন নেতা গুরনাম সিং এএফপিকে বলেছেন, "আমি গুরুদ্বার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি।"
রিপোর্ট অনুসারে, ২৫-৩০ আফগান হিন্দু এবং শিখ সকালের প্রার্থনার জন্য গুরুদ্বারে উপস্থিত হয়েছিলেন। এবং আক্রমণকারীরা সেখানে এল ১০-১৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। বাকিরা ভেতরে আটকা পড়ে যান।
বিজেপি বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা বলেছেন, "গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানের সভাপতি গুরনাম সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আফগানিস্তানে শিখদের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।"
এদিকে, বিদেশ মন্ত্রক (এমইএ) এই ঘটনার একটি বিবৃতিতে বলেছে, "কাবুল থেকে সেই শহরের এক গুরুদ্বারে হামলার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং অপেক্ষা করছি এই ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য।" বিদেশ মন্ত্রী ডাঃ এস জয়শঙ্করও এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন যে সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।