Advertisement

Modi-Biden Bilateral Meet: বিশ্বে শান্তি, গণতন্ত্র রক্ষায় গান্ধীর আদর্শকে স্মরণ মোদী-বাইডেনের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের আমেরিকা সফরের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোটা বিশ্বের তাই নজর ছিল এই হেভিওয়েট, হাই ভোল্টেজ বৈঠকে। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার-ঘনিষ্ট চিন ও পাকিস্তানের অবস্থানের নিরিখে মোদী-বাইডেনের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল!

এই বৈঠকে জো বাইডেন বিশ্বে শান্তি, গণতন্ত্র রক্ষায় গান্ধীর আদর্শকে স্মরণ করেন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Sep 2021,
  • अपडेटेड 11:19 PM IST
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের আমেরিকা সফরের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
  • গোটা বিশ্বের তাই নজর ছিল এই হেভিওয়েট, হাই ভোল্টেজ বৈঠকে।
  • আফগানিস্তানে তালিবান সরকার-ঘনিষ্ট চিন ও পাকিস্তানের অবস্থানের নিরিখে মোদী-বাইডেনের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের আমেরিকা সফরের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এবং আফগানিস্তানে নতুন তালিবান সরকার গড়ে ওঠার প্রেক্ষিতে চিন, পাকিস্তান, রাশিয়ার মতো দেশের অবস্থানের ক্ষেত্রে। গোটা বিশ্বের তাই নজর ছিল এই হেভিওয়েট, হাই ভোল্টেজ বৈঠকে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথমবার জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি হলেন আজ। করোনা মহামারী, আফগানিস্তান, সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে এই দুই রাষ্ট্রনেতার মতামত শুনতে মুখিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। মোদী-বাইডেনের এই বৈঠক চিন ও পাকিস্তানের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তালিবানদের বিরুদ্ধে আমেরিকার অবস্থান বিশ্বের কাছে আগে থেকেই খুব স্পষ্ট ছিল। আফগানিস্তানে ভারতের ‘বন্ধু’ সরকারকে উচ্ছেদ করে গঠিত তালিবানি শাসন সম্পর্কে কোনও মত প্রকাশ না করলেও শুরু থেকেই দূরত্ব বজায় রেখে চলছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার-ঘনিষ্ট চিন ও পাকিস্তানের অবস্থানের নিরিখে মোদী-বাইডেনের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ!

এই বৈঠকে জো বাইডেন বিশ্বে শান্তি, গণতন্ত্র রক্ষায় গান্ধীর আদর্শকে স্মরণ করেন। তিনি ভারতীয় কূটনৈতিক সহিষ্ণুতারও প্রশংসা করেন। বাইডেনের এই গান্ধী-স্মরণের পিছনে অনেকে চিন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অহিংসা ও আপোষের প্রচ্ছন্ন বার্তা বলে মনে করছেন। বাইডেনের গান্ধী-স্মরণের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীও শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় ভারতের ঐতিহ্য ও কূটনৈতিক সহিষ্ণুতায় ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ভারত যে দশকের পর দশক ধরে শান্তি রক্ষায় সহনশীলতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছে, তাঁর ইঙ্গিত দেন।

এই বৈঠকের সময় জো বাইডেন বলেছেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করি যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ২০০৬ সালে যখন আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম যে, ২০২০ সালের মধ্যে ভারত এবং আমেরিকা বিশ্বের ঘনিষ্টতম দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদী উত্তরে বলেন, “আজকের দ্বিপক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই শতকের তৃতীয় দশকের শুরুতে মিলিত হচ্ছি। আপনার নেতৃত্ব অবশ্যই এই দশকে গঠনমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই দশকটি ভারত ও আমেরিকার— উভয়ের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আরও শক্তিশালী, আরও গভীর বন্ধুত্বের বীজ বপন করবে।”
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement