Russian President Vladimir Putin: কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নয়া সমস্যায় পড়েছে রাশিয়া। তার সমাধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এক প্রস্তাব দিয়েছেন। সে দেশে জনসংখ্যার সংকট পুনরুদ্ধার করতে ১০ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মহিলাদের আর্থিক সাহায্য়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। ১০টি শিশুর জন্ম দিতে এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাড়ে ১৩ পাউন্ডের এক-পেমেন্ট দেওয়া হবে। এই উদ্যোগটিকে বিশেষজ্ঞরা এক মরিয়া প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
রেডিও অনুষ্ঠানে
রাশিয়ার রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেনি ম্যাথার্স টাইমস রেডিওর ব্রডকাস্টার হেনরি বনসুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছিলেন। মাদার হিরোইন নামে পরিচিত রাশিয়ান এই পুরষ্কার। এই প্রকল্প সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন। যেটি পুতিন কমে যাওয়া জনসংখ্যার পূরণ করার একটি ব্যবস্থা হিসাবে ঘোষণা করেছেন।
এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় সর্বোচ্চ দৈনিক করোনভাইরাস কেস রিপোর্ট করেছে।এর পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০ হাজার জন সৈন্য মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন বলে আসছেন যে যাঁদের বড় পরিবার আছে, তাঁরা বেশি দেশপ্রেমিক।
আগেও এমন হয়েছে
বনসু বলেন, “সোভিয়েত যুগের যাঁদের দশ বা তার বেশি সন্তান ছিল, তাঁকে পুরষ্কার দেওয়া হত। তাঁকে বলা হত মাদার হিরোইন। এটা রাশিয়ার জনসংখ্যা সংকট পুনরুদ্ধার করার একটি প্রয়াস। যা ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে গভীর হয়েছে।"
"অর্ডার অনুসারে, মহিলারা তাঁদের দশম সন্তানের প্রথম জন্মদিনে পৌঁছনোর পরে ১ মিলিয়ন রুবল, মানে সাড়ে ১৩ হাজার পাউন্ডের এককালীন পেমেন্ট পাবেন। তবে শর্ত আছে। আর সেটা হল যে বাকি নয় সন্তান এখনও বেঁচে আছে। এই মরিয়া শোনাচ্ছে, তাই কি?" তিনি জিজ্ঞাসা।
ডাঃ ম্যাথার্স বলেছেন, “এটা আসলে, বেশ মরিয়া প্রয়াস। আমি বলতে চাই, রাশিয়া জনসংখ্যা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। দেশটিকে সত্যি অর্থে জনসংখ্যার জন্য যথেষ্ট লোক আনার চেষ্টা করছে।"
তিনি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী সত্যিই রাশিয়ার জনসংখ্যাকে উল্লেখযোগ্যভাবে ধাক্কা দিয়েছে।
"সুতরাং, এটি স্পষ্টতই রাশিয়ান মহিলাদের উৎসাহিত করার একটি প্রয়াস। তাঁদের অনুপ্রাণিত করার জন্য, আরও সন্তান জন্ম দিতে এবং সত্যিই বড় পরিবার তৈরি করতে" তিনি বলেছিলেন।
“কিন্তু সাড়ে ১৩ হাজার পাউন্ডে ১০টি শিশুকে বড় করার কথা কে কল্পনা করতে পারে? এর মধ্যে তারা সবাই কোথায় থাকবে? রাশিয়ায় অনেক অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে,” তিনি বলেছিলেন।