সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কলেজের অনুষ্ঠানে গাইতে উঠে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন মইনুর আহসান নোবেল। নেশাগ্রস্ত হয়ে মঞ্চে উঠে অসংলগ্ন আচরণ করেন নোবেল। তাঁর দিকে উড়ে আসে জুতো-বোতল। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। নোবেলের এহেনও আচরণে রীতিমতো অবাক তাঁর স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেলের স্ত্রী জানিয়েছেন যে নোবেল আগে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকী সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে। কীভাবে এতটা বদলে গেল নোবেল বুঝতে পারছেন না তিনি নিজেও। স্ত্রী সালসাবিলা বলেন যে, নোবেলের যদি কোনো শারীরিক সমস্যা হতো, তা হলে তিনি নিশ্চিত, মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করত। কিন্তু এ সমস্যা মানসিক, তাও মদের কারণে। নোবেল তো প্রথম থেকে এ রকম ছিল না। তিনি এই মানুষটিকে চেনেন না বলেই জানান।
আরও পড়ুন: বেসামাল হয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন নোবেল, জুতো ছুঁড়লেন ক্ষুব্ধ শ্রোতারা
নোবেলের গানে একসময় মন জয় করে নিয়েছিল এপার-ওপার দুই বাংলার মানুষদেরই। কিন্তু বারংবার বিতর্কে জড়িয়ে মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছেন বাংলাদেশী এই গায়ক। নানান বিতর্কিত কারণে জর্জরিত নোবেল। তার ওপর রয়েছে ব্যক্তিগত ঝামেলা-অশান্তিও। কিছুদিন আগেই ফেসবুকে নোবেল লিখেছিলেন, ‘কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আমার, শুধুমাত্র মৃত্যুই এখন বাকি আছে। তোমাকেও স্বাগত প্রিয়। তোমাকেও গ্রহণ করে নেব…’। ইদের দিনও নিজের একাকীত্বকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন গায়ক।
আরও পড়ুন: ইদের দিন একাকীত্বে ভুগছেন নোবেল, পোস্টে হইচই
প্রসঙ্গত, রংপুরের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজে নোবেলের গান পরিবেশনের কথা ছিল রাত ৯টায়। প্রায় ১১টা নাগাদ ওঠেন মঞ্চে। এরপর গান গাইতে গাইতে তাঁর কথা জড়িয়ে যেতে থাকে। মাইক ভেঙে ফেলার চেষ্টাও করেন তিনি। একসময় স্টেজের ওপর বসেও পড়েন নোবেল। উত্তেজিত জনতা এরপরেই তাঁর দিকে ছুঁড়ে মারেন জুতা ও বোতল। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোনও মতে মঞ্চ ত্যাগ করেন নোবেল। এই ভিডিও ভাইরাল হয় ঝড়ের গতিতে।
আরও পড়ুন: 'ওসব ধার করা ফেম চাই না', সারেগামাপা নিয়ে এ কী বললেন নোবেল?
এই বছরের মার্চ মাসেও নোবেল ও তাঁর স্ত্রী দুবাই ঘুরতে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে সালসাবিল জানিয়েছিলেন যে তিনি নোবেলকে আরও একবার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুবাই থেকে ফেরার পর নোবেল তার আগের জীবনে ফিরে যায়। এখন আর কোনওভাবেই গায়কের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয় বলেই জানান সালসাবিলা। দিনকয়েক আগে নোবেলের স্ত্রীকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, '২০২০ সালে বান্দারবনে ঘটা একটা ঘটনার কারণে আমিই নোবেলকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। ও তখন নেশায় ডুবে থাকত। যদিও পরে ও ভুল বোঝে নিজের এবং নেশা করা কমায়। কিন্তু কদিন পরে আবার নেশা শুরু করলে আমি আলাদা থাকা শুরু করি। আমাদের এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু তাও ও সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।'